শেখ শোভন আহমেদ: ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতু বৈচিত্র্যময় এদেশে বৈচিত্র্য অনুভব করতে গ্রাম-বাংলার প্রকৃতির কোনো বিকল্প নেই। দিন দিন কমে যাচ্ছে সেই বৈচিত্র্য। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেলেও, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার যমুনা ড্রিম সিটি নামক স্থানে জুড়ে ফুটে উঠেছে কাশফুল। শীত এবং বর্ষাকাল স্পষ্ট ভাবে বোঝা গেলেও অন্যান্য ঋতুর বৈচিত্র্য খুব একটা দেখা যায় না। তবে নদ-নদীর চর এলাকায় কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় শরৎ এসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,, ড্রিম সিটি মাঠ ঘিরে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেশকিছু প্রকৃতিপ্রেমীদের দেখা মিলে। ছবি তোলা আর টিকটকে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। আর দুর থেকে দেখা যায় বান্দরবানের পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য। একদিকে পাহাড় আরেক দিকে নদী, এ যেন অপরূপ দিয়ে সাজানো এক চরাঞ্চল।
এদিকে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই সময়ে অনেকেই ঘুরতে আসে এখানে৷ কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটতে দেখা যায়। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সৌন্দর্যের কথা ছড়িয়ে পড়ায় আশেপাশের উপজেলার অসংখ্য দর্শানার্থীর ভীড় বাড়ছে শরতের মৃদু হাওয়ায় মোহনীয় রূপে দুলে ওঠা কাশফুলের মধ্যেদিয়ে ঝকঝকে নীলাকাশে সাদা মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে অভিভূত হচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা।
কলেজ শিক্ষার্থী শ্রাবণ বলেন, শরতের সৌন্দর্যই যেন এই কাশফুল। এই ফুল বালু মিশ্রিত মাটিতে প্রচুর জন্মে। এ এলাকায় মাঝে মধ্যে দেখা যায়। প্রকৃতিতে যে শরত এসেছে, তা কাশফুল না ফুটলে টের পাওয়া যেতো না। শরতের একমাত্র মনোরম সৌন্দর্য হলো কাশফুল।
ঘুরতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রাম বাংলার প্রকৃতি পাল্টে যাচ্ছে দিন দিন। উজার হচ্ছে গাছপালা। অতীতের মতো এই ফুল এখন চোখে পড়ে না।
প্রকৃতিতে শরৎ আসে নতুন রূপ নিয়ে। আর কাশফুল শরতের রূপের মধ্যে অন্যতম। এ সময় ছাতিমসহ নানা ধরনের সুগন্ধযুক্ত বুনো ফুল। ফুটতে থাকে। আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা খন্ড খন্ড মেঘ। মেঘের ফাঁক গলে দেখা যাচ্ছে স্বচ্ছ নীলাকাশ। প্রকৃতির রূপ নিতে আসে অনেকে। কেউবা ফটোসেশান কেউ বা টিকটক করার জন্য ভিডিও। কাশফুল নিয়ে কেউবা লিখেন কবিতা বা ছন্দ।
দ.ক.সিআর.২৫