➖
হাওর থেকে ফিরে- মুশফিকুর রহমান এর প্রতিবেদন
টাঙ্গুয়ার হাওরে গিয়েছিলাম ২০২২ সালে। সাথে ছিল আমার ওয়াইফ আর ছোটবোন। ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় গিয়ে আমি প্রথম বুঝতে পারলাম যে পর্যটকের মলমূত্র সব পানিতে পরে সরাসরি। পানিতে নামার পর কিছু হলুদ বস্তু দেখতে পেরেছিলাম, তারপর আশেপাশে ভাল করে খেয়াল করে আসল ঘটনা বুঝতে পারা। এই ঘটনা জানার পর ট্যুরের প্রতি রুচি উঠে গেল। সবচেয়ে অবাক হলাম মলমূত্র মিশ্রিত সেই পানিই মোটর দিয়ে হাউজবোটের ট্যাংকে তুলে দেয়া হয় যাবতীয় প্রয়োজন সারার জন্য। আমার ওয়াইফ আর বোন বারবার জানতে চাইছিল টয়লেটের বর্জ্য কোথায় যায়। আমি ভুলভাল বুঝাচ্ছিলাম কারণ সত্যিটা জানতে পারলে সে বলবে আমাকে এখনই ফেরত পাঠায়ে দাও । কিন্তু সকালে রওনা দিয়ে তখন দুপুর, ইতিমধ্যে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি, ফেরত আসার উপায় নাই। আরো আবাক হয়েছিলাম টেকের ঘাটে বিকাল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শখানেক বোট ১৬ ঘন্টার মত নোঙ্গর করে থাকে। সেখানে হাজারখানেক পর্যটক বদ্ধ পানিতে মলমূত্র ছাড়ে, সেই পানিই হাউজবোটেরের স্টাফরা মোটর দিয়ে আবার ট্যাংকে তুলে পর্যটকদের ব্যবহার করতে দেয়। রান্না করা, চা বানানো কোন পানিতে করা হয় খেয়াল করিনি। পরদিন দুপুরে আমার ছোটবোনও সেই অমোঘ সত্য(টয়লেট পানিতে যাওয়া) আবিষ্কার করে ফেলে। আমরা যাদুকাটা নদীতে দাড়িয়ে দুজন মিলে তখন প্রতিজ্ঞা করি, আর কোনদিন এই হাওরে আসবোনা আর আমার ওয়াইফের কাছে এই সত্য গোপন থাকবে। কিন্তু ফেসবুকের কল্যানে ইদানিং আমার ওয়াইফ সেই টুপ টুপ করে হাগু পড়ার ভিডিও দেখে ফেলেছে। সে বলেছে তার কাছে সত্য গোপন করাটা সে কোনদিন ক্ষমা করবেনা।
দ.ক.সিআর.২৫