1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রেম, দ্রোহ ও মানবতার কবি মনসুর আহমেদের জন্মদিন আজ লাখাইয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ থেকে টাকা চুরি  নেপাল-বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচ বাতিল গাজীপুরে ইউনিয়ন জামাতে ইসলামীর এর পক্ষ থেকে তিন গুনিজনকে সংবর্ধনা  কুসুমের ভেতরে আরেকটা দুনিয়া লুকিয়ে থাকে— ছোটগল্প নেপালে বিক্ষোভ, কারফিউ! কেন ফুঁসে উঠল শান্ত দেশটির তরুণরা? বাবার স্বপ্নপূরণ ও এলাকার সেবায় হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের গাইনী ডা: বিথীকা নিশান সোসাইটির এমডি বেলাল অর্থ আত্মাসাৎ মামলায় গ্রেফতার সাত মাসে দেশে ধর্ষণ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদন শব্দকথা’র কলেজ কমিটির মাসিক সাহিত্য আড্ডা ও কাব্যগ্রন্থের পাঠউন্মোচন

১৯ বছরের ময়লার স্তুপ বর্জ্যে ভরছে খোয়াই নদী

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

চুনারুঘাট প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ জেলার অন্যতম পুরোনো পৌরসভা চুনারুঘাট। প্রায় ১৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি পৌর এলাকার জন্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিদিন শহর থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খোয়াই নদীতে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর অস্তিত্ব। নদীতে আবর্জনা ফেলার এ অপচর্চা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পৌরবাসী বলছেন, এটি পরিবেশের ওপর সরাসরি আঘাত। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীতে ময়লা ফেললে শুধু পানি দূষিত হয় না, চারপাশের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে নদীটির অস্তিত্ব নষ্ট হবে। বিষাক্ত বর্জ্যে নষ্ট হয়ে যাবে এর বাস্তু ব্যবস্থাপনা।

সরেজমিন পৌর এলাকার নদী তীরবর্তী অংশ ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই নদীর চরে অলিখিতভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নাগরিকদের। এসব জায়গা দিয়ে পথচারীকে চলাচল করতে নাক চেপে ধরতে হয়। বিগত দিনে পৌরশহরের পাকুড়িয়া জোড়া ব্রিজের সামনে ময়লা ফেলা হলে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে সে স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ময়লা ফেলার স্থান। এখন গোটা খোয়াই নদী ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, তাদের কোনো বিকল্প স্থান সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই এখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। শিক্ষক শামীম আলম বলেন, ডাম্পিং স্টেশন না থাকা একটি পৌরসভার জন্য লজ্জার বিষয়। দীর্ঘ দুই দশকেও একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে না তোলা দুর্ভাগ্যজনক।

২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ৮ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে লোকসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।

পাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, খোয়াই নদীর পাশে প্রতিদিন ময়লা ফেলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপন পরিকল্পনা। ওয়ার্ডের নাগরিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ চাইছে। চুনারুঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভা এখন এক চরম বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে। পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং শহরের ভবিষ্যৎ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, পৌরসভা ভবিষ্যতে একটি বড় শহরে পরিণত হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ময়লা ডাম্পিংয়ের পরিকল্পিত স্টেশন নির্মাণের চেষ্টা চলছে।

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট