1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :

স্মার্টফোনে আসক্ত শিশু-কিশোর; বিরুপ প্রভাবের আশঙ্কা

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

সালাহউদ্দিন শুভ

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বেড়েছে মোবাইল আসক্তি। ইন্টারনেট সহজ লভ্য হওয়ায় শিশু-কিশোররা ব্যস্ত থাকে ইন্টারনেট ভিত্তিক গেমস ও নানা ভিডিও দেখা নিয়ে। এছাড়াও গ্রাম পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের মধ্যে এখন টিকটক আর লাইকি নিয়ে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বখাটেপনা ও নানান অনৈতিক কাজও করে বেড়াচ্ছে উঠতি বয়সী শিশু কিশোররা। সংঘটিত হচ্ছে কিশোর অপরাধ।

কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিংগা চা বাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে টিকটক আর লাইকি নিয়ে উন্মাদনার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

সড়জমিন ঘুরে দেখা যায়, স্কুল-কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের গেমসে আসক্ত হয়ে পড়েছে। মোবাইল গেইমে আসক্তির কারণে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বিমুখ হওয়া সহ দুষ্টু ছেলেদের খপ্পরে পড়ে মোবাইল জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়ছে। এখনই দমন করা না হলে ভবিষ্যতে বিরুপ প্রভাব বিস্তার করবে বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখা যায় শিশু-কিশোরদের। প্রাথমিকের গন্ডি পার না হওয়া এক শ্রেণির শিশু থেকে শুরু করে উঠতি বয়সীদের হাতে হাতে এখন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় ইন্টারনেট ভিত্তিক নানা গেমস নিয়ে মেতে থাকে কিশোরদের দল।

স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট হাতের মুঠোয় থাকায় সহজেই পর্নো ভিডিওসহ অশ্লীল ও অনৈতিক ভিডিও দেখার সুযোগ অনায়াসেই পেয়ে যায় অপরিণত বয়সীরা। আর এসব শিশু-কিশোরই একটু বড় হলে জড়িয়ে যাচ্ছে নানা অপকর্মে। দলবেঁধে আড্ডা দেওয়া, মাদকদ্রব্য গ্রহণ, মেয়েদের উত্তক্ত করাসহ নানা অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে তারা।

পরিবারের অসচেতনতার কারণেই কিশোররা বখাটে হয়ে যাচ্ছে। অপরিণত বয়সে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধা না দেওয়ায় দিন দিন মোবাইল ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ছে তারা। লেখাপড়া থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর বাজারে, রাস্তার মোড়ে আড্ডা দেওয়া এবং গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় তৈরি হচ্ছে তাদের একাধিক গ্রুপ। বড়দের সঙ্গে বেয়াদবি, শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করতেও দ্বিধা করে না উঠতি বয়সীদের একটা শ্রেণি। আধিপত্য নিয়েও পরস্পরকে বিরোধে জড়াতে দেখা যায়। মোবাইল আসক্ত উঠতি বয়সীরা আসক্তির চরম পর্যায়ে মোবাইলের এমবি/টাকা যোগাতে পরিবার ও নিকট জনদের থেকে টাকা বা মূল্যবান জিনিস চুরি করতেও পিছপা হচ্ছে না।

দশম শ্রেনী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী সিয়াম। সে জানায়, ‘স্কুলে ভালো পড়াশোনা হয়না। তাই যাইনা। বাড়িতে আছি মোবাইল নিয়ে বন্ধুদের সাথে কথা ও আড্ডা হয়। কথা বলা শেষে বিভিন্ন ধরনের গেমস ও ভিডিও দেখি। মোবাইল হাতে না থাকলে অস্বস্তি লাগে।’

কমলগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আলী মর্তুজা বলেন, ‘অনলাইন ক্লাসের জন্য ছেলে-মেয়ে শিক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে অভিভাবকরাও ফোন দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা, জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক ও গবেষক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘শিশু এবং তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে এবং শিশুরা ফোনে কতটা সময় ব্যয় করছে অভিভাবকদের তা নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। স্মার্টফোনের প্রভাব সব সময় একমুখী হয় না। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার যেমন মানুষের মেজাজে প্রভাব ফেলতে পারে, তেমনি মানুষের মন-মেজাজ স্মার্টফোন ব্যবহারের পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে। স্মার্টফোনের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, সেইসঙ্গে শারীরিক কর্মকান্ডের সুযোগ না পাওয়া, এ দুই মিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। এ সমস্যাটি যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অবশ্যই তা আশঙ্কার একটি কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে আশংখ্যা মনে করছেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, ‘ছাত্রদের কাছ থেকে ফোন নেওয়া যাবে না। তাদের সচেতন করতে হবে এবং অভিভাকদেরও সচেতন হতে হবে। তাছাড়া সকল শিক্ষককে বলবো, অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সময় সচেতনতার মেসেজটা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন।

এছাড়াও তিনি বলেন, অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্তানকে সময় দিতে হবে এবং তাদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।’

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট