সালাহউদ্দিন শুভ,মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পরিত্যক্ত বস্তা ভর্তি সিমেন্ট দীর্ঘদিন থাকার পর সৃষ্টি হয়েছে পাথরের। মেয়াদ উত্তীর্ণ সেসব পাথর ভেঙ্গে তৈরি হচ্ছে নির্মাণ কাজের খোয়া। মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব খোয়ায় নির্মাণ কাজের মান নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি করছেন সংশ্লিষ্টরা। কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের উসমানগড় এলাকায় এভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাথরের খোয়া উৎপাদনের পর রাস্তাঘাট ও ভবন নির্মাণের কাজে জন্য সেসব খোয়া অবাধে বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার উসমানগড় এলাকায় দীর্ঘ একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় ভাবে মেশিনের মাধ্যমে পাথরের খোয়া তৈরী রাস্তা ,কালভার্ট সহ বিভিন্ন নির্মান কাজের জন্য পাথরের খোয়া তৈরী করে বিক্রি করছেন। খোয়া নির্মাণ কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা কংক্রিট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ও ব্যক্তিরা দামে কম হওয়া কিছু না জেনেই নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছেন। ফলে এই পাথরের খোয়া দিয়ে রাস্তা কিংবা ভবনের স্থায়িত্ব বা মান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, বস্তা ভর্তি সিমেন্ট দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকার পর সেগুলো পাথরের সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর মাটির মধ্যে পড়ে থেকে রোদ-আর বৃষ্টিতে ভিজে থাকার পর মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্ট সমুহ পাথরে পরিনত হয়।
কারখানা এবং বিভিন্ন এলাকায় বা ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের বস্তা ভর্তি মেয়াদ উর্ত্তীণ বিনষ্ট সিমেন্ট সল্প মূল্যে ক্রয় করে উসমানগড় পাথর তৈরীর কারখানা মালিকরা।
সম্প্রতি শমসেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিট থেকে ১৪ লাখ টাকায় পরিত্যক্ত বিনষ্ট সিমেন্ট ক্রয় করে কারখানার মালিকরা। ঐসব বিনষ্ট সিমেন্ট থেকে উসমানগড়ে মেয়াদ উর্ত্তীণ সিমেন্টের পাথর থেকে খোয়া তৈরী করে খোয়া বিক্রি করা হচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে অনেকেই না জেনে ভবন কিংবা রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য কিনে নিচ্ছেন। আর তাতে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে পাথর উৎপাদনকারী ঐ মহল।
মেয়াদ উত্তীর্ণ পাথর দিয়ে খোয়া তৈরির বিষয়ে উসমানগড়ে কারখানার মানেজার সুমন মিয়া বলেন, শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিট থেকে ১৪ লাখ টাকায় এগুলো কিনে আনা হয়েছে। এখন খোয়া তৈরি করা হচ্ছে। যারা কাজে লাগাবেন তারা পাথরের খোয়া দেখে শুনেই কিনে নিচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল আজম বলেন, এগুলো আমাদের রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যবহার হয় না। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ নিয়ে গেলে সেটি তাদের বিষয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
দ.ক.সিআর.২৫