এফ এম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর শহরের প্রবাহিত খোয়াই নদী এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা হয়েছে।
চরম দুর্গন্ধ, ভোগান্তি থেকে মুক্তি ও স্বস্তি পেয়েছে নগরবাসী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রবিন মিয়ার হস্তক্ষেপে এই ময়লা-আবর্জনা ফেলা অবসান ঘটে। পৌর শহরের নিত্যদিনের যানজট যুক্ত লোহার ব্রিজের পাশে ময়লা ফেলা বন্ধ করায় স্বস্তি পেয়েছেন পথচারীগণ।
দীর্ঘদিন এ এলাকায় যত্রতত্রভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে সতেচন নাগারিক মহল, সুধীজন, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো ওই স্থানে ময়লা ফেলা বন্ধে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছিল। পরে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে কলেজ ও স্কুল শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন, শিউলী আক্তার, জাকির হোসেন ও আবির হোসেনসহ আরও অনেকেই বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার এ জায়গাটি ছিল চুনারুঘাট পৌরসভার প্রবেশ পথ। এখানে ময়লার দুর্গন্ধে নাক-মুখ ঢেকেও চলাচল করা যেত না। অবশেষে কয়েক সপ্তাহ ধরে ময়লা ফেলা বন্ধ হওয়ায় আগের মতো আর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে না। ফলে আমরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারছি।
স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠক ও পদক্ষেপ গণ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক এস এম মিজান বলেন, পৌর শহরের যে জায়গাটিতে দীর্ঘদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো সেটি পৌর শহরের প্রবেশমুখ ও প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী খোয়াই নদী। ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করাই যেত না। উপজেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসকের হস্তক্ষেপে কয়েক সপ্তাহ ধরে ময়লা ফেলা বন্ধ হওয়ায় দুর্গন্ধ নেই। ময়লা ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান,চুনারুঘাট পৌরসভার প্রবেশ পথে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসকের দায়িত্বশীল হিসেবে আলোচনা করে কয়েক সপ্তাহ আগে ওই স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে যৌথভাবে নিষেধ করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পৌর শহরের যানজট নিরসনের প্রক্রিয়া চলছে।