1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনের যোগদান চুনারুঘাট প্রেসক্লাবে মিথ্যাচারের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন মাধবপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু লাখাইয়ে ২০-২৫ জন প্রতিবন্ধী ভাতা বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে হবিগঞ্জে বিজিবির হাতে ভারতীয় ইস্কফ সিরাপসহ এক জন আটক লাখাইয়ে নির্মাণের ২ মাসেই বেহাল, পাকা রাস্তা এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক  স্কুলে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি অনলাইন জুয়ায় আসক্তি: ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  লাখাইয়ে কাইঞ্জা বিলে ইজারাদারের নৌকায় আগুন ও হামলা আহত ৬ মিরাশিতে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ

পাহাড়ি সৌন্দর্যে ঘেরা চুনারুঘাট উপজেলার ভূপ্রকৃতির উপাত্ত- কালনেত্র

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

আসাদ ঠাকুর◾

নদী- পাহাড়- বন – চা বাগান ঘেরা একটি উপজেলা চুনারুঘাট। ছোট বড় অসংখ্য বিল ও হাওর ঘেরা অঞ্চল ছিল চুনারুঘাট। ১০ টি বিশাল হাওর নিয়ে এই তরফ অঞ্চল ছিল। যদিও চুনারুঘাট উপজেলাতে বড় কোন হাওর নেই। নদী নালা মারা যাওয়ার ফলে তেমন পানি আর কোথাও দেখা মিলেনা। এই অঞ্চলের ছোট বড় অসংখ্য টিলা রয়েছে।

খোয়াই নদীর প্রাচীন নামের উৎপত্তি সম্পর্কে একটি কিংবদন্তি প্রবাদ আছে; খোয়াই নদীর প্রাচীন নাম ক্ষমা বা ক্ষেমা। ক্ষেমা নামকরণের পেছনে একটি জনপ্রবাদ রয়েছে। একবার এক ভিনদেশী বণিক তার পানসী নৌকা নিয়ে এই নদীর তীরে নোঙ্গর করে ফেলে খাসিয়াদের একটি পূজা উৎসব উপভোগ করছিল। যুবকের রূপে মুগ্ধ হয়ে অভিজাত এক খাসিয়া কন্যা তাকে ভালবেসে বিয়ে করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে । কিন্তু খাসিয়া সম্প্রদায় তাকে নিজেদের সম্প্রদায়ের একজন যুবকের সাথে ঐ কন্যার বিবাহ দিলে ক্ষেমা বা ক্ষাম নামের ঐ খাসিয়া কন্যা নদীতে আত্মাহুতি দেন। সেই থেকে এই নদীর নাম ক্ষেমা বা ক্ষমা৷ তবে প্রবাহমান খোয়াই নদী বাংলাদেশের অন্য সব নদী পথের মতো উত্তর থেকে দক্ষিণে নয় বরং দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়৷

 

করাঙ্গী ও সুতাং নদী এখনো প্রবাহমান। তাছাড়াও চন্দনা নামের একটি খাল যা দূত নগরায়নের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে। চন্নার ডর নামে কিছু অংশ এখনও দৃশ্যমান তবে সেখানে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য।

 

এদিকেও হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় উপজেলাও এই চুনারুঘাট’ই। উপজেলাটির আয়তন ৪২৭ বর্গকিলোমিটার। যা অন্যসব থেকে বৃহৎ। তরফ রাজ্য নামেই বহুকাল আগে ডাকা হতো চুনারুঘাটকে। ধীরে ধীরে নাম পরিবর্তন হয়ে এখন চুনারুঘাট নামেই পরিচিত। অতীতে নদীপথে ব্যবসায়ীগণ এখানে এসে চুনাপাথর ক্রয়-বিক্রয় করতেন। যারা চুন তৈরী করতেন তাদের ডাকা হতো চুনারু। সেই থেকে চুনারু-আট বা চুনারুহাট, বর্তমানে বই পত্রে চুনারুঘাট লিখলেও গ্রামীণ জনগণ চুনারঘাট নামেই ডাকেন।

তবে চুনারুঘাটকে অন্যতম করে তুলেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা বনাঞ্চল। এছাড়াও চাকলাপুঞ্জি এলাকায় আদিমকালিন পাথরের হাতিয়ার আবিষ্কারের চুনারুঘাট এখন অনেকটা পর্যটনকেন্দ্র।

কালক্রমে এই চুনারুঘাট হয়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী এক জনপদ।

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট