➖
কালনেত্র প্রতিবেদন◾
সরকার পরিবর্তনের পর ন্যাশনাল টি কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ আটজন পরিচালক পদত্যাগ করায় অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ছয় সপ্তাহ অধিক সময় ধরে মজুরি পাচ্ছেন না চা শ্রমিকরা।
এতে প্রতিদিন তারা কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করায় বাগানের উৎপাদিত পাতাও নিলামে পাঠানো যাচ্ছে না।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬টি বাগানের মধ্যে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় রয়েছে চারটি। এসব বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।
ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেছেন চা শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান,৬ সপ্তাহ থেকে তারা কাজ করেও মজুরি না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ছেলে-মেয়ের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছেন না। অনাহারে অর্ধাহারে থাকার পরও বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাপ্য মজুরি দিচ্ছে না। এতে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। তারা জানান যতদিন পর্যন্ত বকেয়া মজুরি দেয়া না হবে, ততদিন পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না।
এনটিসির মালিকানাধীন ১৬টি চা বাগানের মধ্যে লস্করপুর ভ্যালির চণ্ডিছড়া, সাতছড়ি, তেলিয়াপাড়া ও জগদীশপুর চা বাগানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তারা দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরি হিসাবে প্রতি সপ্তাহে হাজিরা পান। কিন্তু এনটিসির ১৬টি বাগানেই ২২ অগাস্ট থেকে অর্থ সংকটে মজুরি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে এবং বাগানের চা নিলামে পাঠানো বন্ধ করে দেয়।
চুনারুঘাটের চারটি বাগানের কয়েক লাখ কেজি তৈরি চা আটকা পড়েছে আছে। বাগানে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ কেজি কাচা পাতা।
চণ্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিমুর রহমান বলেন, “বোর্ডের সমস্যার কারণে আমরা আর্থিক সংকটে ভুগছি। পরিচালনা পরিষদ পূর্ণাঙ্গ গঠন হয়ে গেলেই আমরা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারব।
অন্যদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এবার তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধ চা শ্রমিক জনতা।
দ.ক.চা/আ