নিজস্ব সংবাদদাতা◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদ মিয়ার নামে স্যোসাল মিডিয়ায় নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।
বিভিন্ন আইডি থেকে তারা অভিযোগ তোলেছে যে, প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদ মিয়া বিদ্যালয়ের ফান্ড, পুকুরের মাছ ও গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করে নিজে বাড়ি ও প্রভাব প্রতিপত্তি গড়েছেন। আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় দূর্নীতিও করেছেন মোটা অংকের। শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়ম করেছেন তিনি। প্রাক্তন শিক্ষক আঃ ওহাব মাষ্টারকেও বিদায় করায় ফরিদ মাষ্টারকে অভিযুক্ত করছেন তারা।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদ মিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এসে লিখেছেন- আমি বিদ্যালয়টিতে যোগদান করি সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে। প্রায় ১০ বছর হলো আমি কর্মরত। বিদ্যালয়ের পূর্বের অবস্থা আর বর্তমান অবস্থা দৃশ্যমান। কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে এর জবাবে বলতে চাই, গাছ বিক্রির কথা বলা হয়েছে, গাছ বিক্রি হয়েছে ২০১২ সালে যা আমার যোগদান করার পূর্বে। আমি আসার পর বিক্রি করার মত কোন গাছই অবশিষ্ট ছিল না। বর্তমান গাছ আমি নিজে রোপন করেছি, যা এখনও ছোট ছোট। পুকুরের মাছ নিয়ে বলা হয়েছে, পুকুরটি ২০১২ সালে ৪ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়, যা আমার যোগদানের পুর্বে। পরবর্তীতে ঘাটলা নির্মাণের জন্য প্রায় ২বছর পুকুরটি শুকিয়ে রাখতে হয়েছিল। ২০২৩ সালে আমরা পুকুর বুঝে পাওয়ার পর যে মাছ চাষ করা হয়েছে তা এখনো আছে, বিক্রির উপযুক্ত হয়নি। মধ্যে ১বছর মাছ বিক্রির ৪০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়েছে।
তাছাড়া যোগদান কালে আমাকে ২৫৬ টাকার তহবিল সমঝানো হয়েছিল, বিগত ১০ বছরে বিদ্যালয়ের ব্যয় মিটিয়ে এখন প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা তহবিলে রহিয়াছে। প্রাক্তন শিক্ষক আঃ ওহাব স্যারকে বিদায়ের কথা বলা হয়েছে, যাহা ২০১০ সালে তিনি বিদায় নেন। সেটাও আমার আসার পূর্বে। শিক্ষক নিয়োগ ২০১৫ সাল থেকে সরকারি ভাবে হচ্ছে, এখানেও আমার কিছু করার নেই। আমার জানা মতে আমি অনৈতিক কোন সুবিধা স্কুল ব্যাবহার করে নেইনি। আমার সম্পদ নিয়ে কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সম্পদ তো বাবার কাছ থেকে পেয়েছি, নিজে চাকুরি করছি ২৫ বছর যাবৎ তারপরও নিজের পৈত্রিক জমি বিক্রি করে এবং ব্যাংক লোন নিয়ে বসবাসের জন্য বাড়ি বানিয়েছি। টাকা থাকলে লোন নিতে হতোনা, এলাকার মানুষকে নিয়ে ব্যাংক জামিনদার করতে হতো না। ২০১৫ সালের পর থেকে অর্জিত সম্পদ বিক্রি করেছি, ক্রয় করতে পারিনি। রাজনৈতিক পদ পদবি হারিয়েছি অর্জন করতে পারিনি। সবশেষে অর্জিত সম্মানটুকুও হারাতে বসছি কিছু লোকের রোষানলে পড়ে।
পরিশেষে বলতে চাই আমার রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে, আমি আওয়ামীলীগ করি, কিন্তু আমার দ্বারা কোনও লোক রাজনৈতিক হেনস্থার স্বীকার হয়েছে বলতে পারবে না। আমি সবার সাথে মিলেমিশে চলছি। আর্থিক লেনদেনেও কাহারও সাথে অনিয়ম করিনি।
একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমার বিরোদ্ধে এসব করছে, কারণ আমি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এই আমার অপরাধ।
কে/সিআর/২৪