আসাদ ঠাকুর◾
ভারত নাকি বাঁধ খুলে দেয়নি, এমনিতেই খুলে গেছে! আমাদের মিডিয়া এটাকেই হেডলাইন করছে। পত্রিকার এই হেডলাইন দেখে কি আর বলবো, সাংবাদিক বা সংবাদপত্রের জন্য ডাস্টবিনটাকে আর উপযুক্ত মনে হচ্ছেনা।
পৃথিবীর সকল জলাধারেই পানি একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেলে নির্দিষ্ট গেট খুলে দেয়া হয়, সেটা হাতেও হতে পারে আবার স্বয়ংক্রিয় ভাবেও হতে পারে। ত্রিপুরা ডুম্বুর বাঁদেও সেই ব্যবস্থা আছে। পানি একটি ধর্ম মেনে চলে। পানির ঘনত্ব ও আপেক্ষিক গুরুত্ব ’১’ থাকার কারণে পানিকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুব সহজে অপারেটর হিসাবে ব্যবহার করা যায়।ডুম্বুর বাঁধে এই ব্যবস্থা আছে।
মুল কথাটা হলো বাঁধের ভেতরের পানির উচ্চতা একটা বিশেষ স্তরে উপনিত হলে বাঁধটি খুলে যাবে। এটার অটোমেশন করা আছে পানির ওজন ও ঢালের মাধ্যমে সৃষ্ট বল হিসাব করে। ফলে সবাই জানে কখন বাঁধটি খুলে যাবে। এই বিষয়ে ভারত সার্বক্ষনিক ভাবে তাদের ডাটা আপডেট করার কথা। এটা তারা তাদের ওয়েব সাইটেই দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে এই ডাটার একটা বিনিময় প্রক্রিয়া চালু আছে। আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেই ডাটা পেয়েছে কি না সেটাই হলো বড় বিষয়। ডাটা পেলে আগে থেকে সতর্ক করা বাংলাদেশের সরকারের কাজ, ভারতের কাজ নয়। যদি ডাটা না পেয়ে থাকে তবে তা সরকারী ভাবে প্রকাশ করা উচিত। গুজব নয়।
আসাদ ঠাকুর
কবি, লেখক ও সাংবাদিক
কে/সিআর/২৪