সম্পাদকীয় কলাম: আসাদ ঠাকুর, রাজার বাজার
ধর্ম বা রাষ্ট্র মানুষকে যে উৎসবের কথা শুনায় সেই বাস্তবতায় মানুষ কতোটা নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার অধিকার রাখে! আপনি না মানলেও একথা সত্য, ভূমিহারা, সংসারবিচ্ছেদের স্বীকার এতিম অসহায় বাচ্চাদের আলিফ, বা, তা পড়তে আসার একমাত্র এবং শেষ কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধু দুএক বেলা ভাতের আশায় মাদ্রাসায় আশ্রয় জোটে!
কোন শ্রেণী বা রাষ্ট্র যখন সেই বাচ্চা নিয়ে পরিকল্পিত রাজনীতির রোড়ম্যাপ কিংবা অর্থনৈতিক ফায়দার কথা ভাবে তখন কিন্তু সেই ফাঁদ’টাই ইসলামিক ছবক হয়ে মানুষের কাছে ফুটে উঠে! এভাবে ইসলামি শিক্ষা তথা ইসলাম আস্তে আস্তে অন্য আরেক’টা শ্রেণীর উদাহরণ হয়ে যায়!
নানান রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় বাচ্চাগুলো শুধু আলিফ, বা, তা সম্বল করে বড় হতে থাকে। একদিন কিছু বুঝার আগেই ‘অশিক্ষিত কাঠ মোল্লা’ উপাধি পেয়ে সমাজ থেকে ঠিক ছিটকে পড়ে। বিজ্ঞান অজানা, ধর্মের আংশিক জানা এই মানুষগুলার এখানে কী আর করার ছিলো, বলুন?(!)
সুখে দুঃখে আপনি তো আপনার পরিবার আঁকড়ে ধরে আছেন। পরিবারও আপনাকে ছাড়তে প্রস্তুত নয়। কিন্তু যার ঘর নেই, সংসার যে হারিয়েছে জন্মের আগে- মায়ের গন্ধের মতো যে শিশুটি সহপাঠী এতিমদের গন্ধ শুকেশুকে দিনানিপাত করছে তার কী উপায়? ঈদের ছুটিতে লম্বা সময় পার করতে তার যাওয়ার যায়গা কই!(?)
সুতরাং দিনের পর দিন আপনার বা সমাজের অবজ্ঞা যদি এই দলিত শিশুগুলো পেতেই থাকে তবে একদিন যদি তারা শেষ হুংকার স্বরুপ সশস্ত্র হয়ে উঠে তবে সে দায় সমাজের; অবশ্যই তাদের নয়।
এ কথা জাতিকে মেনে নিয়ে পথ চলতে হবে বলে মনে করি…
কালনেত্র/মতামত