চুনারুঘাট প্রতিনিধি: চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাংবাদিক পরিচয়ধারী আবুল কালাম আজাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিয়মিতভাবে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনের দিনগুলোতে তার ফেসবুক আইডিতে ছাত্রদের যৌক্তিক কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেফতার হলেও চুনারুঘাটে ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগের এই নেতা দিব্যি শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
গতকাল একদিনেই সারাদেশে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১,৭৫৪ জন নেতাকর্মী গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেলেও চুনারুঘাটে চিত্রটি একেবারেই ভিন্ন। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত কিছু জনপ্রতিনিধি এখনো প্রকাশ্যে অবৈধ বালু ব্যবসা, মাদক ও গরু চোরাচালান, এমনকি ভারত থেকে চা পাতার অনিয়মিত আমদানি-বাণিজ্যে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, এসব অবৈধ ব্যবসা থেকে নিয়মিত কমিশন নিচ্ছেন দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
৫ আগস্টের ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর দেশের অনেক কিছুই বদলে গেলেও, কালাম আজাদ এখনো রয়েছেন আগের মতো প্রভাবশালী অবস্থানে।
জনমনে এখন প্রশ্ন একটাই— আবুল কালাম আজাদকে রক্ষা করছে কারা?
দ.ক.সিআর.২৫