
চুনারুঘাট প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় অপহরণের ১৯দিন পরও অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার ২৮ অক্টোবর এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২৫) আইনের ৯/১ ও ৭/৩ ধারায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের আজিমাবাদ গ্রামের কুতুব মিয়ার বাড়ি থেকে অপহরণের শিকার হন জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি (১৩)।
অপহৃতা জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি পৌরসভার খাদিজাতুল খোবরা মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা হাবিবা আক্তার পপি জানান, অত্র উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামের মৃত আঃ জাহির চৌধুরীর ছেলে আহাদ চৌধুরী (৪২) দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী কুতুব আলী, পিতা মোঃ আঃ হাসিম, গ্রাম আজিমাবাদ, চুনারুঘাট এর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিলো। এবং তাদের ব্যবসার ৪ লক্ষ টাকার একটা চুক্তিপত্র ছিলো। সেটা নেয়ার জন্য প্রায়ই আহাদ চৌধুরী আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। বিষয়টি আমি মুন্নির দাদা ও পরিবারের সদস্যদের অবগত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতে আহাদ চৌধুরী আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
তিনি আরও জানান, গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমি ঘরের বাহিরে অবস্থানের সুযোগে আহাদ ও তার সহযোগীরা আমার মেয়ে মুন্নিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বহু জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাদের না পেয়ে আহাদ চৌধুরীর পরিবারকে বিষয়টি অবগত করলে তারা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
ভিকটিমদের দাদা সাবেক মেম্বার মোঃ আঃ হাশিম বলেন, গত ১৯দিন ধরে আমার নাতনি অপহৃত অবস্থায় রয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করার পরও পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।
অপহৃত ছাত্রীর বাবা কুতুব আলী বলেন, আমার মেয়ে মুন্নি ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই সময় আহাদ চৌধুরী ও তার সহযোগীরা আমার মেয়েকে ঘর থেকে ডেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জানি না আমার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে। এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ, কিন্তু ঘটনার ১৯দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমি আমার মেয়ের সন্ধান চাই।
চুনারুঘাট থানার এসআই সজল বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আহাদ চৌধুরীকে খোঁজতে আমরা কয়েকবার গেছি, পাইনি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ.ক.সিআর.২৫