
চুনারুঘাট প্রতিনিধি: আসল মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্রে নিজের ছবি বসিয়ে জালিয়াতি করে অন্যের জমি বিক্রয় করতে গিয়ে সাবরেজিস্টার অফিসে ধরা পড়েছে বিক্রেতা আঃ শুকুর (৩৫) ও ক্রেতা আঃ মালেক (৪২)।বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চুনারুঘাট উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার খালেদা আক্তার তাদেরকে পুলিশে দেন।
চুনারুঘাট সাব রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে শুকুর ও মালেককে দলিল প্রস্তুত করতে কামাল নামের এক দলিল লেখকের সাথে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। বেলা ৩টার সময় দলিল রেজিস্ট্রি করতে সাবরেজিস্টারের এজলাস কক্ষে গেলে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার খালেদা বেগম শুকুরকে সন্দেহ করেন। পরে, দলিলটি যাচাই করা হয়। তখন দেখা যায়, দাগ, খতিয়ান ইত্যাদি মিলিয়ে জমির মালিক পাইকপাড়া গ্রামের তালুকদার বাড়ির মৃত আঃ মতিন এর পুত্র আঃ জলিল। সঙ্গে সঙ্গে শুকুর আলী ও আঃ মালেককে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চুনারুঘাট সাবরেজিস্টার অফিসে মোহরার পদে কর্মরত সৈয়দ শোয়েব উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। চুনারুঘাট থানায় মামলা রুজু হয়।
পরদিন মঙ্গলবার শুকুর ও মালেককে আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুকুর চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আঃ হাই এর পুত্র ও মালেক উপজেলার জোয়ার মাগুরুন্ডা গ্রামের আনোয়ার আলীর পুত্র।
এদিকে বহু জাল দলিল লেখক ও মুল হোতা দলিল লেখক কামাল মিয়া এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন। নিজের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।জমির ক্রেতা আব্দুল মালেক তেমন কিছু জানেন না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।মুহুরী কামাল মিয়া বিষয়টি গোপন রেখে তার সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। শুধু এই দলিলই নয়,দলিল লেখক কামাল মিয়ার জালিয়াতে শিকার অন্তত ৫০ জন মানুষ।তারা দলিল করে এখন ভুক্তভোগী।
দলিল লেখক কামালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
দ.ক.সিআর.২৫