বাহুবল প্রতিনিধি : প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পারচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে কথা বলে ফেলা হয় প্রেমের ফাঁদে। প্রেমের ফাঁদ থেকে কথা দেওয়া হয় বিয়ের। সে দেশে আসতেই তার সাথে বিয়ে করবে বলে তার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
বলা হয়, সেই টাকায় সঞ্চয় পত্র এফডিআর সহ একাউন্টে নানাভাবে রেখে সেটি তাদের ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা হবে। নানা তাকে বোঝানো হয় যেন টাকাগুলি মেয়ে ও তার মার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সরল মনে বিয়ের কথা চিন্তা করে মেয়ে ও তার মায়ের কথায় তাদের হাতে টাকা তুলে দেয় এক প্রবাসী। এভাবেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রবাসীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মা-মেয়ের চক্রটি।
এরকম এক পর্তুগাল প্রবাসী জুয়েল ইসলামের সাথে ফেইসবুকে পরিচয় হয় হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার দক্ষিণ ডুবোই বাসিন্দা জিতু মিয়ার মেয়ে রিক্তা আক্তারের। এর সুত্র ধরে পরিবারের সকল সদস্যের আাথে আন্তরিকতা তৈরি হয় জুয়েল ইসলামের।
এরই মধ্যে মেয়ের মা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন।ওই প্রবাসীর সাথে। কিছুদিনের মধ্যেই মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রবাসীকে। প্রবাসী জুয়েল ইসলাম সরল মনে রাজি হওয়ার পর থেকে মেয়ে, তার মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রবাসী জুয়েল ইসলামকে নানাভাবে ম্যানেজ করে মেয়ের জন্য একটা ফিক্স ডেপোজিট ও জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে।
জুয়েল ইসলাম বিয়ে করবে এই সরল চিন্তা থেকে জমি ক্রয় ও ফিক্স ডিপোজিটর জন্য কয়েক দফায় ১০ লক্ষ টাকা ওই পরিবারকে পাঠায়।
এর বাইরে ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মাসে মাসে টাকা নিত ওই প্রবাসীর কাছ থেকে। একটা সময় পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু বিপত্তি বাধে জুয়েল ইসলাম পর্তুগালে হঠাৎ করে অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়লে।
ওই সময় সে রিক্তার মাকে তার পাঠানো টাকা থেকেই ৫০ হাজার টাকা ১ মাসের জন্য ধার চায়। এরপর থেকেই জিতু মিয়ার পুরো পরিবার মোবাইল নাম্বার বন্ধ।
মানুষিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অসুস্থ হয়ে ওই প্রবাসী টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতে থাকে।
বিশ্বস্ত সূত্রে প্রতিবেদক জানতে পারেন সৌদি প্রবাসী এক লোকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা বিনিময় মেয়ে রিক্তা আক্তার কে বিয়ে দেওয়া হয়।
সর্বশেষ সে বাহুবল থানায় বিষয়টি অবহিত করে এবং তার নিজ এলাকা হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ বরাবর প্রয়োজনীয় প্রমান সহ আবেদন করবে।
এই প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে রিক্তা আক্তার মা মোছাঃ মালা বেগম সাথে কথা বললে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে ও টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে জুয়েলের সাথে কথা হয়েছে।
তবে জুয়েল জানান ভিন্ন কথা। তিনি জানান তিনি নানা দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এবং তার কষ্টের টাকা তিনি প্রশাসনিকভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফেরত চান।
তার সাথে কথা হলে মেয়ের মা এবং মেয়ে নানাভাবে নানা কথায় টাকা দেবে না বলেই তাকে বুঝিয়ে দেয়। এব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এবং বাহুবল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জুয়েল।
দ.ক.সিআর.২৫