➖
চুনারুঘাট প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে মো. হাবিবুর রহমান জাকি (২৬) নামে এক তরুণের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি মো: হাবিবুর রহমান জাকি চুনারুঘাটের আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের মৃত মিজান মিয়ার ছেলে। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা।
বৃহস্পতি বার ২১ জুলাই সকালে এডভোকেট মহিবুর রহমান জিতু গণমাধ্যকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার ও বাদীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার ২নং আহম্মাদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত মোঃ শাহ আলমের কন্যা জেসমিন আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে গঙ্গানগর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান জাকি এর। এর সুবাদে হাবিবুর রহমান জাকি ও তার বন্ধু জুয়েল আকরাম রানা জেসমিন আক্তারকে কৌশলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। এর অংশ হিসেবে, চলতি বছরের ২৯ মে উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘোরাঘুরি শেষ করে উত্তর বাজারে জুয়েল আকরাম রানার বাসায় নিয়ে যায় জেসমিনকে। সেখানে জুয়েল আকরাম রানার সহযোগিতায় বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাবিবুর রহমান জাকি ওইদিন বেলা ৩টায় জেসমিনকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে শত বাধা দিলে, বাধা উপেক্ষা করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আবারো কয়েক দফায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। জাকি ও রানা ভয় দেখিয়ে কাউকে বিষয়টি জানাতে নিষেধ করে। দিনের পর দিন মানসিক যন্ত্রণায় ভোগতে থাকে জেসমিন আক্তার। এক সময় তার শরীর ভারি অনুভব হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে পজেটিভ ধরা পরে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, জেসমিন আক্তার ৩ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। খবরটি জানতে পেরে ওই যুবতী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এরপর জেসমিন আক্তার গত ২১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (২), হবিগঞ্জ এ হাবিবুর রহমান জাকি ও তার বন্ধু জুয়েল আকরাম রানাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই হবিগঞ্জকে দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।
ধর্ষিতা জেসমিন আক্তার আরও জানান, আসামি প্রকাশ্যে চলাফেরা করার কারণে তাঁরা নিজেদের জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জুয়েল রানা ও জাকি’র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দ.ক.সিআর.২৫