➖
কালনেত্র প্রতিবেদন
চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা গাজীপুর ইউনিয়নে কিছু দিন ধরে ধর্ষণ সহ অনেক বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক একটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারলাম যে গাজীপুর ইউনিয়নের ধলাজাই গ্রামে একটি মেয়ে প্রেমিকের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অথচ সে তার খালাত ভাই আব্দুল হকের সাথে প্রেমে জড়িয়ে স্বইচ্ছাতেই পালিয়ে যায়।
পরবর্তিতে মেয়ের বাবা ভাই মেয়েকে অপর আরেক ব্যক্তি রমজানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এবং মেয়ের দুই মামা প্রেমিক আব্দুল হক কে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে যান। মারধরের আলামত দেখে চুনারুঘাট থানা পুলিশ তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর কথা বলেন। হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে আবদুল হককে বাড়িতে নিয়ে আসলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার একপর্যায়ে সে ঘুম থেকে উঠে পালিয়ে যায়। আর এদিকে আব্দুল হকের বাবা মা বলছেন আলী হোসেন ও জহুর হুসেন মিলে আব্দুল হক কে মেরে গোপন করে রেখেছেন।
আব্দুল হকের নিখোঁজ নিয়ে তার ভাই চুনারুঘাট থানায় একটি সাধারণ ডাইরিও করে রেখেছেন।
এদিকে মেয়ের পরিবারের লোকজন বলছেন আব্দুল হক ধর্ষণ মামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে, এখন মামলার ভয়ে তারা আমাদেরকে অপহরণ মামলার ভয় দেখাচ্ছে।
তবে উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামী আবদুল হক, রমজান ও মিলাদ তারা তিন জন এলাকায় একসাথে চলাফেরা করত। মিলাদ এর পরিবারের লোকজন কালনেত্র প্রতিনিধিকে জানান, ওরা আমাদের ছেলেকে মিথ্যাভাবে মামলার আসামী দিয়েছে। ঘটনার সময় মিলাদ গত ১৪/৫/২০২৫ তারিখ হইতে ২৪/৫/২০২৫ ই তারিখ পর্যন্ত বিদেশে যাওয়ার জন্য সিলেটে টেনিং করছিল। এবিষয়ে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণাধিও রয়েছে। আর্থিক পায়দা নেয়ার জন্য মিলাদকে মিথ্যা আসামী করা হয়েছে।
প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি মামলাটি সঠিক তদন্ত করে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।
দ.ক.সিআর.২৫