1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :

আওয়ামী যুগ এবং অত:পর; লেলিন আজাদ নিরুপম

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

লেলিন আজাদ নিরুপম◾

গত নির্বাচনটা পিওর মকারী ছাড়া কিছুই হয় নাই। কিছু মানুষের ঘরের টাকা বাহির করতে যেয়ে আওয়ামী সরকার এতোদিনের চেষ্টায় স্থাপন করতে যাওয়া বাকশাল কায়েম করতে ব্যার্থ হইলো। বার বার দেশের সকল মানুষের আশা ভরষার কেন্দ্রবিন্দুতে নিজেকে রাখা যে, উনার জন্যই ক্ষতিকর হবে তা তিনিও হয়তো বুঝতেন! দলের মধ্যেই গনতান্ত্রিকতা ছিলো না আর বাহিরে কি বা থাকবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এদেশীয় রক্ষাকর্তাকে বানিয়ে ফেলা হলো আওয়ামীলীগের বি+ টিম। উনার মতন বিগেস্ট নেগোশিয়েটর কে কম ই দেখছি। খালি কথায় কথায় কথায় বলতো, আওয়ামিলীগ কি করে তা তো বুঝতেই পারি নাহ!

আস্তে আস্তে এমন অবস্থা হলো আশে পাশের লোকেরা যা বলতো তাই মেনে নিতো! নইলে নারী কোঠা আর জেলা কোঠা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই দেশের জন্য তা লিখতে গেলে দুই তিন পাতা লিখতে হবে।

আপনাদের বলে রাখা ভালো, রাষ্ট্র কখনোই তার কোনো নাগরিককে ছোট বড় করে দেখতে পারেনা! এবং তা সরকারি দলের ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া লাগবেই! আওয়ামী সরকার যে সেফটি নেট সাজিয়েছিলো তা অজপাড়াগাঁয়ের মানুষজন পর্যন্ত কিছু না কিছু হলেও পাইছে। সবথেকে বড় রেভুলেশনাইজড হইছে ইউনিয়ন ব্যাবস্থা এবং ব্যাবস্থাপনায়। ডিজিটাইলেজশন বাদ দিলাম কিন্ত পার্সপোর্ট, জমির খতিয়ান, ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়গুলোতে দেশ অভূতপূর্ন পরিবর্তন দেখছে।

কৃষককে ভর্তুকি দিতে দিতে কৃষি ব্যাংক খালি করে দিয়ে এখন নিশ্চয়ই দল ভাবতেছে কাদের জন্য কি করলাম। এর ফলাফল বাংলাদেশ করনাকালীন সময় পেয়েছে। তবে বাংলাদেশের মার্কেট ব্যাবস্থার সাথে আন্তর্জাতিক মার্কেট ব্যাবস্থাপনার কখনোই সামঞ্জস্য নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে এখানে বাড়ে নাহ! কয়লার দাম বাড়লে বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ে নাহ। আবার কমলে যে কমবে তা তো না ই। এই দেশের তথাকথিত মানুষের চিন্তাধারা হলো এখানে মানুষ ভাবে নিত্যপন্যের দাম কম থাকলেই সরকার সফল, নয়তো নাহ। ভর্তুকি দিতে দিতে পিঠের ছালা শেষ হলেও তা দিতেই হবে।এই একটা বিষয়ের কারনেই হয়তো আমরা এখনো পরিশ্রমী জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারি নাই। কখনো পারবো ও না হয়তো।

জননেত্রী শেখা হাসিনা সকল সময়েই এই মাটির ওপর বিশ্বাসী মানুষ। সে জানতো কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কিন্ত এই কৃষিকে আধুনিকায়ন এর পরিবর্তে কৃষিকে পংগু ভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিলো! তবে এই দায় দেশের শিক্ষিত মানুষজন এড়াতে পারেনা। শেষ মেস যখন কর্পোরেট সেক্টরে জোয়ার আসলো “এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি ইজ দ্যা ফিউচার ফর বাংলাদেশ “ততক্ষনে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে।

দেশে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি অভূতপূর্ন ভাবে হয়েছে তবে তা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে খুবই স্বল্প দলীয় লোকের প্রয়োজনেই বেশি। সরকার এই বিষয় ধামাচাপা দেবার জন্য জিডিপি উন্নয়নের মানদনন্ডের হিসেবে দেখালেও জিডিপির আসলে কি তা জনগণের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাই। আর যারা দিতে পারতেন সেই শিক্ষকসমাজ সেই দায়িত্ব নেয় নাই। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার পরিবর্তে তাদের বেশিরভাগ বেসরকারি বিস্ববিদ্যালয়ের এডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবেই বেশি দেখা গেছে। আরো হাজারটা কারন দর্শানো যাবে নিশ্চয়ই।

এই মিসকমিউনিকেশনের দরুন রাষ্ট্রের উন্নতির সাথে জনগণের জনসম্পৃক্ততা তৈরি হয় নি অন্তত প্রমিনেন্ট উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাছে।

শেষের দিকে ব্যাংকব্যাবস্থা পুরোটুকু ধসে গেছিলো। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনুযায়ী যেখানে পাঁচশ এর অধিক ব্যাংক থাকার কথা সেখানে ব্যংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাত্র সত্তর এর ঘরে এবং তা গত ১৭ বছরে বাড়ে নি।

সরকার দেশের নব্য বড়লোক বা ভদ্রলোকদের অর্জিত ইনকাম দেশের ইনভেস্ট এর সুযোগ করে দেয় নি। তা অবশ্যই নির্দিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এবং পরিবারের জন্য এই সমস্যা শুরু হয়। দেশের মানুষ যদি দেশে ইনভেস্টমেন্ট করতে ভয় পায় তবে এর তুলনায় খারাপ আর কি হতে পারে।

সবসময়ই বিদেশি ব্যংককে দেখছে ফরেইন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট এর এক মাত্র সম্বল হিসেবে। কিন্তু কখনো এটা কি ভাবছে যে দেশের অর্থনৈতিক পারদের ওপর এরা কখনোই ওঠানামা করে নাহ।

প্রত্যেক দেশের অর্থনৈতিক খুঁটি ধরে রাখে নির্দিষ্ট কিছু বুনিয়াদি পরিবার ;এরা সোস্যাল রেসপনসেবলিটি থেকে এতটা দূরে সরে গেছিলো যে করনার সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের কাছে হাত পেতেও কিছু পায় নাই।

যে সাংঘঠনিক ক্ষমতার দাপট আওয়ামী সরকার সবসময়ই দেখিয়ে আসছে তা একদম শূন্যের কোঠায় চলে আসছিলো। মাজাভাংগা ছাত্রদের দিয়ে ছাত্রলীগ গঠন করা হুইছিলো যাদের কাজ ছিলো মা**বাজি আর মদ গেলা।

এরকম একটা ঐতিহ্য বাহী ছাত্রসংগঠনের মাথা যদি টাকা দিয়ে বিক্রি হয় তাহলে সেখানে, সবথেকে বড় পুজির বিষয় জাতীয়তাবাদ যে কতটুকু অবশিষ্ট ছিলো সেটা তারাই ভালো জানবে।

এর মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছিলো রহিংগারা। এদের নিয়ে সরকারের যে প্ল্যান তা রাষ্ট্রের প্ল্যান আর বহির্বিশ্বের প্ল্যানের মধ্যে এতোটা ডিফারেন্স ছিলো।যা এই এনার্কির অন্যতম কারন বলেই আমার ধারণা।

গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ইম্প্রোভাইজেশনের জায়গাটা ধরে রাখছিলো, বাংলাদেশ মনে হয় সবথেকে বেশি গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি প্রোডিউস করছে গত এক দশক ধরে এবং তা অনেকের কাছেই ইর্শনীয়।

হাউলস মুভিং ক্যাসেল দেখার কথা অনেকেরই! এনিমেটেড ফিল্মটির শেষে যখন যখন হাউলস তার হৃদয়ের সমস্থটুকু দিয়ে শেষবারের মতন তার ক্যাসেল পুনরায় নির্মান করে তখন সেই ক্যাসেল পরিনত হয়ে ছোট্ট একটি কুড়েঘরে এবং তা অনতিবিলম্বে ধূলিস্যাৎ হয়।

আওয়ামী সরকার এবং সরকার প্রধানের পতনের দায় আমরা কেউ ই এড়াতে পারি নাহ। তবে নব্য এবং পুরাতন ব্যাবসায়ীদের কাছে আমার আকুল আবেদন থাকবে, আপনারা কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখুন, কৃষিজাত পন্যকে ইন্টারমিডিয়েট গুডে পরিনত করার ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলুন। উৎপাদন দিয়ে পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করার মতন সোজা কাজ আর হতে পারেনা। আমরা নবান্নের উৎসব আরো গ্রান্ড ভাবে করবো। আমরা বৈশাখ আরো বড় ভাবে উৎযাপন করবো। আমাদের কৃষকরা মার্চেডিজ নিয়ে ঘুড়বে, প্লেনে করে বিভিন্ন দেশের সাথে ডিল ক্লোজ করবে।

যারা আওয়ামী আদর্শ মনে প্রানে ধারণ করেন তারা নিজেরা নিজের মাঝে পরিবর্তন আনুন। কথা কাজে মার্জিত হন। যখন আবার আপনারা ক্ষমতায় আসবেন কথা কাজ হবে টপ নচ। যে সোসিও ইকোনমিক ডায়নামিক্স এর পরিবর্তন হচ্ছে তার কান্ডারী হবেন আপনারাই। ইটস এন আল্টিমেট ফেইট অব ইউরসেল্প এন্ড ইটস দ্যা আলটিমেট ফেইট অব বাংলাদেশ এজ ওয়েল

লেলিন আজাদ, ১৮ই আগষ্ট, ২০২৪

কে/সিআর/২৪

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট