মীর মোঃ সাজন হবিগঞ্জ : ইনকিলাব মঞ্চের মুখ্যপাত্র শরিফ উসমান হাদির হত্যাকান্ডের ঘটনায় উত্তাল হয়ে পড়েছে হবিগঞ্জ। এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং খুনীদের গ্রেপ্তার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠার পদত্যাগের দাবীতে হবিগঞ্জ শহরে ব্লকেড কর্মসূচি পালনসহ আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও একটি স্থানীয় পত্রিকার অফিসেও হামলা চালানো হয়। এসময় পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা যায়- হাদি হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর শহরের কোর্টমসজিদ প্রাঙ্গণে ব্লকেড ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচির ডাক দেয় হবিগঞ্জের ছাত্র-জনতা। জুুম্মার নামাজের পর থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে কোর্টমসজিদের সামনে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে ব্লক করে দেয় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতা। পরে দাহ করা হয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠার কুশপুত্তলিকা। কুশপুত্তলিকা দাহ শেষে শহরে বের করা হয় এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল।
মিছিলটি কোর্ট মসজিদ থেকে শুরু হয়ে শহরের চিড়িয়াকান্দি এলাকায় যায়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্লগার সুশান্ত দাসের মালিকানাধীন ‘দৈনিক আমার হবিগঞ্জ’ পত্রিকা অফিসে হামলা চালানো হয়। এসময় অফিসটিতে হামলা ও ভাংচুর চালায় ছাত্র জনতা। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। পরে উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যদিও পত্রিকাটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
এদিকে- পত্রিকা অফিস থেকে ফেরার পথে হবিগঞ্জ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে হামলা চালায় ছাত্র জনতা। এসময় অফিসটি ভাংচুরের পাশাপাশি আগুণ ধরিয়ে দেয়া হয় শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরালে।
পরবর্তীতে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে গিয়ে ফের বিক্ষোভ করে শুরু করেন ছাত্র-জনতা। এসময় তারা দোষীদের গ্রেপ্তার এবং আন্দোলনকারি নেতৃবৃন্দ এব জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপাত্তা নিশ্চিতের দাবী জানান। পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপাত্তা এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস প্রদান করলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতা আশরাফুল ইসলাম সুজন বলেন, হাদি ভাইকে যেভাবে গুলি করা হত্যা করা হয়েছে তা অত্যান্ত ন্যাক্কার জনক। ঘটনার ৭দিন পার হয়ে গেলেও কোন আসামীকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি আসামীদের গ্রেপ্তার করা না হয় তা হলে সারা দেশ অচল করে দেয়া হবে।
ছাত্র নেতা মাহদি হাসান বলেন, যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা না হয় তা হলে তাদের সঙ্গে আমাদের কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্চিন্ন করতে হবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) দোলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
দ.ক.সিআর.২৫