আলিম আকন্দ, জামালপুর প্রতিনিধি: দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নে "পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড" এর জনপ্রিয় বীমা অফিসের সাইন বোর্ড খোলা। অফিস তালাবদ্ধ নেই বীমা কর্মীদের খোঁজ। তারা যেন রাতারাতি গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের আমখাওয়া, সাপমারী, আর্চাকান্দী ও সবুজপুর সহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো গ্রাহক। বীমা কোম্পানিটির "পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড" এর জনপ্রিয় বীমা ২০০৮-২০১২ সালে যারা গ্রাহক হয়েছিলেন তাদের মেয়াদ পূর্তি হয়েছে। গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। এমনকি অনেক গ্রাহক ৪-৫বছর বীমার কিস্তি দিয়েছেন। এখন কিস্তি আদায় বন্ধ করেছেন বীমা কর্মীরা। বীমা কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা।
দুই বছর আগে বীমার মেয়াদ পূর্তি হয়েছে টাকা পায়নি এমন ভুক্তভোগী হামিনা বেগম, মুক্তি ভান, আক্কাস আলী, জাকিউল, ফুল বেগম, রেহেনা আক্তার সহ আরো অনেকে। তাদের ভাষ্যমতে, টাকা পাওয়ার সময় হয়েছে বীমা কোম্পানির লোকেরা টালবাহানা করতে করতে লাপাত্তা। যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বীমা করিয়েছে, কথা কাজে কোন মিল নেই। চলতি বীমা গ্রাহক বিলকিস, নাছিনা, শারমিনা সহ অন্যান্যরা বলেন, প্রতিমাসে আমাদের কষ্টার্জিত ১০০-১০০০ টাকা করেও বীমার কিস্তি দেওয়া হয়েছে ৪-৫ বছর। এখন আর কিস্তি নিতে আসে না। এতে এই এলাকার শতাধিক গ্রাহক প্রতারণার শিকার।
বীমা কোম্পানিটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও বীমা গ্রাহকরা বলেন। জনপ্রিয় বীমা নামের প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়ে জমানো অর্থ ফেরত চাইলেও মিলছে না কোন সুফল।
এ বিষয়ে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানি লিঃমি জনপ্রিয় বীমা অফিসের শাখা ব্যবস্থাপক- মোহাম্মদ আলী বলেন, যেসব গ্রাহকের মেয়াদ পূর্তি হয়েছে তাদের প্রতি বীমা কোম্পানি নতুন করে বীমা করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। মেয়াদ শেষে যে পরিমাণ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিলো তা দিচ্ছে না। চেক দিতেও গড়িমশি করছে। এতে গ্রাহকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আছে। এছাড়াও জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, সে (মোহাম্মদ আলী) আমার সাথে যোগাযোগ করে না। দেওয়ানগঞ্জের গ্রাহকদের কাছে যেতে চাইলে সে নিয়ে যায় না। তাই ঝামেলাগুলো নিস্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।
দ.ক.সিআর.২৫