কোনো অবস্থাতেই নিজের প্রাপ্য অধিকার থেকে সরে যাবেন না। সেটা হোক অর্থ, ভালোবাসা, আন্তরিকতা কিংবা সম্মান। কারণ আপনি যদি নিজেই নিজের জায়গাটা ছেড়ে দেন, তবে অন্যরা সেটাকে স্বাভাবিক মনে করতে শুরু করে। দুইদিন পর তারা ভুলেও যায়— আপনি একসময় কতটা দিয়েছিলেন, কতটা চুপচাপ সহ্য করেছিলেন, কিংবা কতবার ছাড় দিয়েছেন। আর যখন আপনি একেবারে ভেঙে পড়েন, তখন কেউ পাশে এসে বলে না, “তুমি তো একসময় আমাদের জন্য এত কিছু করেছিলে।” বরং তখন সবাই সুবিধামতো দূরে সরে যায়।
অনেক সময় আমরা সম্পর্ক, শান্তি বা ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য ভাবি, “আমি না হয় একটু কমই থাকলাম”, “আমি না হয় ওদের কথাতেই রাজি হলাম।” কিন্তু ঠিক এই “না হয়” গুলোই ধীরে ধীরে আমাদের নিজের অস্তিত্ব মুছে দেয়। অর্থ, সম্মান, ভালোবাসা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনার ন্যায্য অংশ আছে। সেই জায়গাটা কেউ স্বেচ্ছায় না দিলেও, আপনি যেন নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারেন। এটা স্বার্থপরতা নয়। এটা আত্মসম্মান, আত্মরক্ষা, আর নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা।
হ্যাঁ, কিছু মানুষ হয়তো বলবে, “তুমি শুধু নিজের কথাই ভাবো”, “তুমি স্বার্থপর।” কিন্তু বাস্তবতা হলো, যখন আপনি ছাড়েন, তখন সবাই খায়; যখন আপনি চুপ থাকেন, তখন সবাই আপনাকে চেপে ধরে; আর যখন আপনি ভেঙে পড়েন, তখন কেউ ফিরে তাকায় না। মানুষের স্বভাব এমনই, আপনি যতটা নম্র, তারা ততটাই আপনার উপর দিয়ে হাঁটে। আর একদিন যখন আপনি একদম ফাঁকা হয়ে যান, তখনই মনে হয়— “আমি যদি একটু নিজের জায়গাটা ধরে রাখতাম!”
তাই আজ থেকেই শিখে নিন, নিজের প্রাপ্য বিষয়গুলো বিনয়ের সঙ্গে কিন্তু দৃঢ়ভাবে দাবি করতে। যে ভালোবাসা, সম্মান, বা অধিকার আপনার প্রাপ্য, তা কেউ দেবে বলে অপেক্ষা নয়। নিজের শক্তিতে, নিজের মর্যাদায় বুঝে নিতে হবে। এটাই আত্মসম্মান। এটাই আত্মরক্ষা। এটাই নিজের প্রতি সঠিক ভালোবাসা।
দ.ক.সিআর.২৫