হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ উন্নয়নমুখী ও জনবান্ধব একজন নেতা। তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চলছে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপকে জড়িয়ে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি স্পষ্টতই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার। এ ধরনের অসত্য প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রপের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু মঈন চৌধুরী সোহেল।
আবু মঈন চৌধুরী সোহেল বলেন- হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ একটি অরাজনৈতিক, সেবামূলক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে আমরা অত্যন্ত সুনাম ও সম্মানের সাথে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। পাশাপাশি মানবতার সেবা ও শিক্ষা খাতে আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় অনুদান প্রদান এবং ক্লাস চলাকালে ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়ায় যাতায়াতের ব্যবস্থা আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ। ১৯৫২ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ আর্থিক সমস্যার কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্র“প এগিয়ে এসে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে। এছাড়াও হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ সুরমা কলেজ (সিলেট), আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ (মিরপুর) সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল ও পূজা-পার্বণ উপলক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, স¤প্রতি আলহাজ্ব জি কে গউছ এবং মটর মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেইক আইডি ব্যবহার করে অসত্য, মনগড়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে আলহাজ্ব জি কে গউছ হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্র“প থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলহাজ্ব জি কে গউছ একজন উন্নয়ন বান্ধব রাজনৈতিক নেতা, যিনি হবিগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। তিনি কেবল বিএনপি’র সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকই নন, বরং হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের একজন প্রিয় নেতা। তাঁর কর্মমুখর জীবনের সাক্ষ্য দেয় হবিগঞ্জ শহর।
দ.ক.সিআর.২৫