লাখাই প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজারে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার সুমন চন্দ্র দাস-এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কেবল 'স্যার' বলে সম্বোধন না করায় তিনি গ্রাহক ও তাঁর সহযোগীকে বাজে ভাষায় অপমান করেছেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী অভিযোগকারী গ্রাহক রোমান মিয়া জানান, গত মাসে বিদ্যুৎ বিল বুল্লা বাজার জনতা ব্যাংকে গত ৪ তারিখে পরিশোধ করা সত্ত্বেও এই মাসে তাঁর বিলের কাগজে সেই বকেয়া যোগ হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার সুমন চন্দ্র দাসের কাছে জানতে গেলে তিনি বিল পরিশোধ হয়নি বলে দাবি করেন। তখন রোমান মিয়া অফিসের সিসি ক্যামেরা চেক করার অনুরোধ জানালে ম্যানেজার সিসিটিভি চেক করার জন্য লোক নেই বলে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তখন রোমান মিয়া সাথে তাকা একজন গ্রাহক ম্যানেজার সুমন দাসকে "ম্যানেজার সাহেব" বলে সম্বোধন করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ম্যানেজার সুমন চন্দ্র দাস। তিনি ওই গ্রাহকের উপর রেগে গিয়ে বলেন, "তুমি আমাকে ম্যানেজার সাহেব কেন বলবে? তুমি আমাকে স্যার বলবে!"
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ম্যানেজার সুমন চন্দ্র দাস উত্তেজিত হয়ে গ্রাহককে "মূর্খ কোথাকার, কোথা থেকে আসছে" বলে অশালীন মন্তব্য করেন এবং বলেন, "আমাকে স্যার না বললে আমার অফিস থেকে বেরিয়ে যাও, অশিক্ষিত কোথাকার!" এমন দুর্ব্যবহারের মুখে গ্রাহক তাঁকে ভালো ব্যবহার করার অনুরোধ জানালেও ম্যানেজার তার ক্ষোভ প্রকাশ করতেই থাকেন।বলে অভিযোগ করেন গ্রাহক। গ্রাহক রোমান মিয়া বলেন আমার কষ্ট করে টাকা গত মাসে বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি এই টাকা গেল কোথায়।
রোমান মিয়া ও তাঁর সহযোগী ম্যানেজার সুমন দাসের এমন আচরণে হতবাক হয়ে ব্যাংক থেকে ফিরে আসেন।
ম্যানেজার সুমন দাসের এই অশালীন ব্যবহারের ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট করা হলে শতাধিক ব্যবহারকারী মন্তব্য করে তাঁর আচরণের তীব্র নিন্দা জানান। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, তাঁর ব্যবহার খুবই বাজে এবং তিনি ব্যাংকটিকে তার বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করেন। কেউ কেউ সরাসরি তাঁকে 'বেয়াদব' বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
এ ব্যাপারে ব্যাংক ম্যানেজার সুমন চন্দ্র দাস-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে বলেন, "আমাকে ব্যাংক ম্যানেজার বলবে কেন। আমি কি তার অধীনে চাকরি করি নাকি।" তাঁকে কী বলে সম্বোধন করা উচিত—এই প্রশ্নের কোনো সুস্পষ্ট উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
গ্রাহকদের অভিযোগ, যেখানে গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিত করার কথা, সেখানে একজন দায়িত্বশীল ব্যাংক কর্মকর্তার এমন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এলাকার জনগণ দ্রুত এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দ.ক.সিআর.২৫