নাজমুল ইসলাম হৃদয়ঃ সময়ে-অসময়ে নানান আলোচনা ও সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশিরভাগ আলোচিত হয়। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, আমরা তা স্বীকার করতে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো জাহিদুল ইসলামের মতো মানবিক পুলিশ অফিসার। দেশে যে কজন পুলিশ কর্মকর্তার সততা, দক্ষতা ও মানবিক গুণে পুলিশের প্রতি মানুষেরই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হচ্ছে ওসি জাহিদুল ইসলাম তাদের একজন। চেহারায় মানবিকতার ছাপ। দুচোখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। কাজে দক্ষ, আচরণে মানবিক। চরিত্রে দৃঢ়তা ও সততার প্রতিচ্ছবি। পুলিশ বিভাগের এমন বহুগুণের অধিকারী হলেন জাহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ পুলিশের হবিগঞ্জ জেলায় বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাষী পুলিশ অফিসার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণ ও দেশের কল্যাণে। পুলিশ জনগণের বন্ধু” এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে দেশের কল্যাণে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর প্রতিটি কর্মে।
মেধা ও মননের সবটুকু দিয়েই কর্মজীবনকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারেন মহৎ গুণের অধিকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা। নিজের পরিবারের মতই কর্মক্ষেত্রেও সহকর্মী এবং অধিনস্তদের প্রতি সহায়কের ভূমিকা পালন করেন তিনি।
ওসি জাহিদুল ইসলাম বাহুবল মডেল থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, নিষ্ঠাবান ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। থানার অধিকাংশ মানুষই তাকে গরীবের বন্ধু ভাবে। তিনি তার সততা, ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা, এবং মেধা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদকনির্মূল, সন্ত্রাসদমন, চাঁদাবাজীমুক্ত, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে এলাকায় কঠোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছেন। তার চোখে ধনী-গরীব, জেলে, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণীপেশার মানুষ সমান।
তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনছেন। তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। "মামলা নয়, আপোষ হলে ভালো হয়"-এই স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর থানায় অধিকাংশ অভিযোগ বাদী-বিবাদীর মধ্যে আপোষের মাধ্যমে সমাধান করে দেন। ফলে তিনি বাহুবল মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে বিগত সময়ের তুলনায় থানায় মামলা বহুলাংশে কমে গেছে। তার মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে ওসি জাহিদুল ইসলামের মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করবে বলে বাহুবল মডেল থানাবাসী মনে করে।
তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অবদান রেখেছেন। তাছাড়া দুর্ঘটনা বা রোগাক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকলে তার খোঁজখবর নেয়াসহ ভাল চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেন তিনি। এলাকার কোন নেতা-কর্মীর মৃত্যুর খবরে ছুটে যান স্বজনহারাদের কাছে। এসব গুণাগুণের কারণে বাহুবল উপজেলার জনসাধারণের কাছে ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠেছেন ওসি জাহিদুল ইসলাম।
থানায় সেবা নিতে আসা এক বৃদ্ধ জানান " ওসির রুমে যেতে আমাকেরে অনুমতি লাগে না যে কোনো বিপদে আমরা ওসির কাছে গেলে সেবা পাই"।
বাহুবল মডেল থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এস আই ও এএসআই বলেন, জাহিদুল ইসলাম স্যারের মত একজন অভিভাবক পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তারমতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে স্যারের মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি হবে।
অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর দেশসেবা ও মানব সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছি। মানবসেবার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম পুলিশের চাকরি। সেবার মনোভাব নিয়ে নিজেকে জনসম্পৃক্ত রেখেই আমাদের কাজ করতে হয়। আজ এ কর্মস্থলে আছে কাল অন্য কর্মস্থলে যেতে হবে তাই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগোতে চাই। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার এ.এন. এম সাজেদুর রহমান স্যারের দিকনির্দেশনায় বাহুবল মডেল থানায় ওসি হিসেবে নিজ কর্মস্থলে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দ.ক.সিআর.২৫