আসাদ ঠাকুর: চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় একজন প্রবাসী হিসাবে উন্নত দেশের কালচার ও শৃঙ্খলে অভ্যস্থ ছিলেন। সে সুবাধে প্রবাসে বসে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি ও ভঙ্গুর সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তিনি।
একপর্যায়ে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে দেশেই চলে আসেন। এসে প্রথমে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে লাগলেন। সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে সৃজনশীল কথাবার্তা বলে যেতে লাগলেন। তখন তাঁর এসব কথাবার্তা শুনে তরুণরা তার দিকে ঝুকতে শুরু করে, শেষ অবদি ওই তরুণরাই মিলেমিশে তাকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে বসার সুযোগ করে দেয়। বর্তমানে চেয়ারম্যান সাহেবও ওই তরুণদের সাথে নিয়েই ইউনিয়নকে সাজিয়ে তোলছেন। তবে কথিত আছে যে, এতে এলাকার প্রভাবশালী প্রবীণদের সাথে চেয়ারম্যান সাহেবের কিঞ্চিৎ গ্যাপ তৈরি হয়েছে।
জনাব মোহাম্মদ আলী সেবার আগ্রহ আর জনগণের আস্থার উপর ভর করে তিনি আজ চেয়ারম্যান হিসেবে পরিষদের দায়িত্ব পালন করছেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই গাজীপুর ইউনিয়নে দৃশ্যমান কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়, যা সাধারণ মানুষের নজরে পড়ে। পরিষদের নির্ধারিত সময়ের পরও মধ্যরাত অব্দি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদ আধুনিকীকরণে তিনি পুরো পরিষদ চত্বরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন, চালু করেন ইন্টারনেট সুবিধা এবং একটি নামাজের স্থান।
এছাড়াও গ্রাম আদালত পরিচালনা, বাল্যবিবাহ রোধ, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কালভার্ট স্থাপন ও ইটের রাস্তা নির্মাণ, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, যুব সমাজকে সংগঠিতকরণ সহ প্রতিটি খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তার প্রশাসনিক নেতৃত্বে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ বসানো, স্বাস্থ্যসম্মত লেপটিন বিতরণ, স্বচ্ছতার সাথে সরকারি ভাতা ও কার্ড বিতরণ- সব মিলিয়ে এক কার্যকর প্রশাসনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তার কর্মকাণ্ডে।
তাছাড়া, ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত গ্রাম আদালত ব্যবস্থা, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, দরিদ্র অসুস্থদের আর্থিক সহায়তা, দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানো এবং কৃষি উন্নয়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষি অফিসের সাথে সমন্বয় সাধন করে প্রশংসিত তিনি।
তার এই বহুমাত্রিক সেবায় গাজীপুর ইউনিয়নের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হয়েছে, তেমনি জনগণের মধ্যে ফিরে এসেছে আস্থা।
এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন,“স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় গাজীপুর ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। স্বল্প সময়ে যতটুকু অর্জন, সবই আমার ইউনিয়নের জনগণের দোয়া ও ভালোবাসার প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, আমি গাজীপুরের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আমার কর্ম প্রয়াসই হলো- হতদরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বরাদ্দের সুষমও বন্টন, ন্যায় বিচার এবং সকল প্রকার নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
দ.ক.সিআ.২৫