ফজলুর রহমান রিয়াদ; মাদক চোরাচালানের অন্যতম একটি রুট চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাল্লা সীমান্ত।
মাদকের মধ্যে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান নিয়ে আসেন চোরাকারবারিরা। এখন জমজমাট হয়েছে ইয়াবা ব্যবসা এই রুটটিতে। নিত্য নতুন মাদকের সহজলভ্যতা বেড়েছে। এতে কোন পথে হাঁটছে যুব সমাজ তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তথ্য বলছে, ফেনসিডিল ব্যবসা কমলেও গাঁজার পাশাপাশি ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবহারও বেড়েছে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি। এসব মাদকে বেশি আসক্ত হচ্ছেন তরুণ সমাজ। এতে বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসার সঙ্গে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত এলাকার সাধারণ মানুষ।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, আগে ফেনসিডিল আসতো। কিন্তু দাম বাড়ার ফলে ফেনসিডিল এখন অনেকটাই কম। ফেনসিডিল কমে গেলেও মাদকের ব্যবসা কমেনি। সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা গাঁজা দেশে আসছে।
বাল্লা খালপাড়ের এক বাসিন্দা জানান, ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ছেলেরা আনাগোনা করে সীমান্ত এলাকায়। চুনারুঘাটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তারা আসেন। এলাকার তরুণ সমাজও জড়িয়ে যাচ্ছে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে। এভাবে চলতে থাকলে সমাজের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাবে।
সচেতন মহল জানান, দিন দিন নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে মাদক কারবারীরা। সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার কারণে অনেক সময়ই মূল পাচারকারী কে জানা সম্ভব হচ্ছে না। তরুণদের মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সামাজিক অবক্ষয় এবং বিশৃঙ্খলা বাড়বে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপের পাশাপাশি খেলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কৌশল প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। ওরা সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার কারণে মূলহোতা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তাছাড়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ এতে জড়িত থাকায় অপরাধীদের ধরতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে।
মাদক ব্যবসায়ীদের নিত্যনতুন কৌশলের কথা স্বীকার করছে বিজিবি। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবরের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, তাছাড়া পরিবারকে সচেতন করতেও নানা পদক্ষেপের কথা জানালেন বাল্লা ক্যাম্প কমান্ডার।
তথ্য বলছে, গত বছরে মাদক উদ্ধার হয়েছে পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৪৫০ টাকা অর্থমূল্যের।
দ.ক.সিআর.২৫