মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার দক্ষিণ সুরমা গ্রামের মোছাঃ শামীমা আক্তার অভিযোগ করেছেন, ‘অগ্রযাত্রা’ নামের একটি ফেসবুক পেজে তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে সামাজিকভাবে তাকে হেয় করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
শামীমা আক্তারের দাবি, ২৯ জুন ২০২৫ ইং তারিখে “অগ্রযাত্রা” ফেসবুক পেইজে তার নামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদে তিনি সামাজিকভাবে চরম মানহানির শিকার হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন—
“অগ্রযাত্রার সাংবাদিক পরিচয়ধারী দর্জি মিজান আমার কাছে টাকা দাবি করেছিল। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার শুরু করে।”
কে এই ‘দর্জি মিজান’?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানের প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। একসময় তিনি পেশায় দর্জি ছিলেন, সেখান থেকেই এলাকায় তার পরিচিতি “দর্জি মিজান” নামে। বর্তমানে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।
তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে—মিজান সাংবাদিকতার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের একাধিক অভিযোগ স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়।
পুলিশেরও রেহাই নেই
অভিযোগ রয়েছে, শুধু সাধারণ মানুষ নয়, প্রশাসনের কর্মকর্তারাও তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়াকে ‘মিথ্যা সংবাদ’ দেখানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন মিজান। এমনকি চাঁদা দাবির একটি ফোনালাপের অডিও রেকর্ড স্থানীয়দের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীদের মুখে অভিযোগ
কয়েকজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন—
“সে প্রথমে টার্গেট বানিয়ে কিছু ছবি বা ভিডিও সংগ্রহ করে, পরে মিথ্যা সংবাদ বানানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়।”
শামীমা আক্তার প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ‘দর্জি মিজান’-এর এহেন কর্মকাণ্ড আরও অনেককে বিপদে ফেলতে পারে।
দ.ক.সিআর.২৫