বিশেষ প্রতিনিধি: আমেরিকা ভিত্তিক বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি অফিসে নিয়োগ পেলেন জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নকর্মী পারভেজ কৈরী। তিনি জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়ন খাতের একজন অভিজ্ঞ পেশাজীবী।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল–এর বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসে প্রকল্প কর্মকর্তা হিসেবে সম্প্রতি যোগদান করেছেন তিনি।
পারভেজ কৈরী রবিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
পারভেজ কৈরী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সন্তান এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সুপরিচিত উন্নয়নকর্মী। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারী অধিকার, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও তরুণদের নাগরিক অংশগ্রহণসহ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন।
পেশাগত জীবনে তিনি সিডিএল, কারিতাস বাংলাদেশ, ব্র্যাক, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সর্বশেষ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে অক্সফাম ও ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর বিভিন্ন প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দৃষ্টিহীনতা প্রতিরোধ ও চোখের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০০০ সাল থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকার, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসক প্রশিক্ষণ, ক্যাম্পেইন এবং দৃষ্টিসেবা সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংস্থাটির বহুল পরিচিত Flying Eye Hospital বিশ্বের নানা দেশে চক্ষুসেবা ও প্রশিক্ষণের এক যুগান্তকারী উদাহরণ।
নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে পারভেজ কৈরী বলেন, “অরবিস ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী—বিশেষত চা-শ্রমিক, হাওড় ও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা, সচেতনতা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে অবদান রাখতে পারাটা আমার জন্য গর্বের। আমি এই দায়িত্বকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
পারভেজ কৈরী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সদ্য জনস্বাস্থ্য বিষয়েও স্নাতকোত্তর করেছেন এবং ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পিএইচডি করার পরিকল্পনা করছেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন সাদা মনের মানুষ, সমাজসেবী এবং বর্তমানে অংকুর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা-বাগানে পাঠাগার স্থাপন ও স্থানীয় যুবদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছেন।
তিনি শ্রীমঙ্গলের সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, গণমাধ্যম, সিভিল সোসাইটি, শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
দ.ক.সিআর.২৫