➖
কালনেত্র প্রতিনিধি◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এক ভিডিও বার্তায় নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে সম্ভাব্য "মৃত্যু"র কারণ উল্লেখ করে বার্তা পাঠিয়েছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। দম্পতির ঠিকানা চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর বড়বাড়ি। দম্পতির নাম হাজী মোঃ মানিক মিয়া ও মোছাঃ জহুরা খাতুন।
ভিডিওতে স্বস্ত্রীক হাজী সাহেব জানান, ‘তিনি তার বিল্লাল নামের এক পুত্রের কৃতকর্মে মৃত্যু শংকায় ভোগছেন। অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। যেকোন সময় উনাদের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান।
বিল্লাল মিয়া বাহরাইন প্রবাসী। আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যাম পুর গ্রামের বড়বাড়ির হাজী মো: মানিক মিয়ার ৮ পুত্র, ২ কন্যা। এরমধ্যে ৬ পুত্র প্রবাসী, ২ কন্যাই বিবাহিতা। এছাড়াও পুত্রদের সকলেই স্বস্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত। আর বিল্লাল মিয়া পুত্রদের মধ্যে পঞ্চম।
৮২ বছর বয়সের হাজী মোঃ মানিক মিয়া বর্তমানে বার্ধ্যক জনিত কারণে চলাফেরা করতে অনেকটাই অক্ষম। যেকারণে তিনি সহায় সম্পত্তি সব পুত্রদের মধ্যে সমান হারে ভাগ ভাটুয়ারা করে দেন। কিন্তু জমির পজিশন ও সুবিধাধির কারণে ইদানিং এক ভাইয়ের সাথে অন্য ভাইয়ের মনোমালিন্য দেখা দেয়। বিশেষ করে ফয়সল মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার মধ্যে বিরোধটা প্রকাশিত। যেকারণে এসব বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যে বিল্লাল মিয়া ফেসবুকে ফয়সল মিয়াকে অপবাদ অপদস্থ্য করে আসছেন দীর্ঘদিন। এনিয়ে বিচার শালিসও হয়েছে বেশ কয়েক বার। মামলাও করেছেন এক ভাই আরেক ভাইয়ের উপর।
এমন সব তিক্ত ঘটনায় ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে দুচিন্তা আর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন হাজী দম্পতি। যারা এতগুলো প্রতিষ্ঠিত সন্তান রেখেও ছোট দুই ছেলের সাথে জীবন অতিবাহিত করছেন। তবে এ নিয়ে উনাদের কোন আক্ষেপ নেই; যত আক্ষেপ আর হতাশা সব বিল্লাল মিয়ার কৃতকর্মের উপর উল্লেখ করে উনারা দেশ ও গ্রামবাসীকে অবগত করে তাদের সম্ভাব্য মৃত্যুর কারণ হিসাবে বিল্লাল মিয়াকে দায়ী করে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন।
ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, বিল্লালের কৃতকর্মের বিচার এই দুনিয়ায় যদি নাও হয় পরকালে এর বিচার আল্লাহর কাছে উনারা চাইবেন।
দ.ক.সিআর.২৫