সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার “উপজেলা পরিষদ কিন্ডার গার্টেন” স্কুলে সামান্য বৃষ্টিপাতেই বিদ্যালয় মাঠে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে কাদা পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা তৈরি হয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবভিত্তিক নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শরীরচর্চাসহ খেলাধুলা।
২২ মে সরজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা চৌমুহনী বাজারের প্রধান সড়ক থেকে বিদ্যালয়টি অনেক নিচু স্থানে অবস্থিত। সেখানে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয় মাঠে জমে থাকা পানি দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিকল্প পথ না থাকায় শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয় ভবনে আসা-যাওয়া করছে। মাঠের পানি নিষ্কাশনে নালার না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি শুরু হলেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীরা। একই ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে রয়েছে উপজেলার প্রধান শহীদ মিনার। তারও চারপাশে জলাবদ্ধতার পানি তৈই তৈই করছে। বিদ্যালয়ের পুরো মাঠে ময়লা পানি জমে আছে। মাঠে ময়লা পানি থাকায় স্কুলের শিশুরা খেলতে পারছে না।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের চারপাশে রাস্তা উঁচু করার কারণে মাঠ অনেক নিচু হয়ে গেছে। এর পর থেকে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বেড়ে গেলে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরো বর্ষা জুড়ে শিক্ষার্থীদের ময়লা পানি মারিয়েই ক্লাস করতে হয়।
তারা আরও জানান, স্কুলে শিক্ষার্থীরা একবার প্রবেশ করলে রুমের মধ্যে বদ্ধ হয়ে যায়। হাঁটা-চলাফেরা অনেক কষ্ট হয়। সেখানে খেলাধুলা করার সুযোগ নেই। অনেক বাচ্চারা হোঁচট খেয়ে পড়ে ব্যথা পেয়েছে। দ্রুত মাঠটি সংস্কার করার দাবি জানান তারা।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, বৃষ্টি হলেই তাদের ময়লা পানি মাড়িয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতে হয়। তাদের কাপড় নষ্ট হয়। মাঠে পানি থাকায় টিফিনের সময় খেলা করতে পারে না। তারা জানায়, জলাবদ্ধতার জন্য শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে নিয়মিত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম খালেদুর রহমান বলেন, এই বিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে নিষ্কাশনের পথ না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি। এ বিষয়ে আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্থানীয়দেরকে নিয়ে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছিলাম।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের মাঠের পানি নিষ্কাশনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর।
দ.ক.সিআর.২৫