➖
তারেক মিয়া সুজন, চুনারুঘাট
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কাম-কম্পিউটার ও মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ আসিফ মিয়া ও প্রকল্প পরিদর্শক মনির জমাদার বিভিন্ন প্রকল্প থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷।
৪ নং পাইকপাড়া ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন মসজিদ ও রাস্তাঘাটের নাম দিয়ে কাজ না করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে নেয় তারা। তাছাড়া এখনো তারা অবৈধ আওমীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন, এবং তাদেরকে সরকারি কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
প্রকল্প অফিসের এই দুই ব্যক্তি ১০-১২ বছর যাবত চুনারুঘাট উপজেলায় চাকরি করে আসতেছেন। বিভিন্ন সময় বদলির তালিকায় নাম আসলেও মোটা অংকের টাকা দিয়ে বদলি স্থগিত করিয়ে নেন তারা। কিন্তু চুনারুঘাটের মানুষ দূর্নীতিবাজ আওমীলীগের মতো, ওদের মদদপুষ্ট এমন সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকেও আর চুনারুঘাটে দেখতে চায় না।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার গনেশপুর বাজার মসজিদটি প্রতিবছর ৩ থেকে ৪বার সরকারি বরাদ্দ পায়। যেখানে বছরে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা কেবল এই মসজিদেই দেখানো হয়।
জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আসিফ কম্পিউটার অপারেটর এবং মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প পরিদর্শক মনির জমাদার। যিনি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম করে আসছেন দীর্ঘদিন।
সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলি গত জাতীয় নির্বাচনের আট নয় মাস আগে মসজিদটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করার কিছুদিন পর নাকি পুনরায় ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয় এই মসজিদে।
উপজেলা বাসীর ক্ষোভ, চুনারুঘাটে কি আর কোন মসজিদ নেই? যেগুলো অনুদান পাওয়ার যোগ্য?
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিদর্শক মনির জমাদার জানান, অবৈধ আওমীলীগ সব সেক্টরেরই হস্তক্ষেপ করেছে, ফলে এর প্রভাব আমাদের উপর বিদ্ধ করতে চাচ্ছেন কেও কেও।
আর সংস্কারপন্থী দেশপ্রেমিক উপজেলাবাসীর দাবী সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন উল্লেখিত দুই ব্যক্তির বিগত ও চলমান বছরের প্রকল্পে দূর্নীতির সম্পৃক্ততা তদন্ত করার অনুরোধ রইলো।
দেশের টাকা আর লুট করতে দেয়া যাবেনা, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসাবে অনেকেই জানান।
দ.ক.সিআর.২৫