➖
হাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দুঃসম্পর্কের আত্মীয় কৌশলে অপহরণ করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের শিকারের অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের।
স্কুল ছাত্রীর বাবা দুলু মিয়া বলেন, পহেলা রমজান থেকে আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে, পরিচিত আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ খবর নিয়েছি, কোথাও সন্ধান পাইনি। কিশোরীর বাবা ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য সুলতান বাহাদুর গ্রামের মইজুদ্দিন চৌকিদারের ছেলে দুলু মিয়া।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী (১৪) বলেন দুপুরে ফজলু ও রোজিনা আমাকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে, সেই রাতে ফজলু আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে, তখন আমি মোবাইল ফোন কেড়ে নিলে বিছানায় থাকা রামদা দিয়ে হুমকি দেয় আমাকে আর বলে কথায় রাজি না হলে মে-রে ফেলবো, শুধু তোকেই নয় তোর বাবা মাকেও মেরে ফেলব। তাছাড়া রোজিনা ও ফজলু দম্পতির বাড়ীতে যারা আসে তাদের সঙ্গে শেয়ার করাও সুযোগ পাইনি। কয়েকদিন পরে বাবার অসুস্থ্যতার খবর শুনে বলি বাড়ী যাব।
সেইরাতে আমার কাছে আসে ভ্যান চালক সেলিম, সেলিমও আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, আর সেই খারাপ কাজের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করছে ফজলু। কোন উপায় না পেয়ে প্রতিবেশীদের কাছে শেয়ার করি, তারা বাড়ীতে খোঁজ খবর নিতে আসলে তাদের উপরে আক্রমণ চালায়। গতকাল আমাকে প্রাণে মারতে চেষ্টা করে তখন পালিয়ে এ বাড়ীতে আসি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের একুশের বাজার নামক এলাকার বাসিন্দা বাছের উদ্দিনের বাড়ীতে আশ্রয়ে থাকা নির্যাতনের শিকার কিশোরী উপস্থিত এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব কথা বলেন।
উপস্থিত প্রতিবেশীরা জানান অপহরণকারি ধর্ষক ট্রাক চালক ফজলু মিয়া (৪০) গোকুন্ডা ইউনিয়নের টেংরা মামুদের পুত্র, তার স্ত্রী রোজিনা ও রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশম গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইলের পুত্র ভ্যান চালক সেলিম।
এ তথ্যের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা নির্যাতিতা মেয়েকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ছুরি ০২টি, দা ০২ টি, কাচি ০২ টি, এসএস পাইপ ০১টি উদ্ধার করা হয়।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তসলিম উদ্দিন বলেন, উদ্ধারকৃত কিশোরী আমাদের হেফাজতে রয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া চলমান, পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
দ.ক.সিআর.২৫