➖
আসাদ ঠাকুর, অমনিবাস
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ১৩-১৫ লাখ।
ক্যানসার একদিকে যেমন মরণঘাতী, অন্যদিকে এর চিকিৎসা ব্যয়ও অনেক বেশি। বছরে এ রোগের চিকিৎসা ব্যয় ক্যানসারের ধরন অনুযায়ী ৫-২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিলে ব্যয় আরও বেড়ে যায়। সাধারণ পরিবারের পক্ষে এ ব্যয় নির্বাহ করা অত্যন্ত দুরূহ। ক্যানসারের ব্যয় বহন করতে গিয়ে অনেক পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্বান্ত হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা যায়, যেসব পরিবারে ক্যানসারের রোগী আছেন, তাঁদের প্রায় ১৭ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই এই বিপুল পরিমাণ ব্যয় নির্বাহের জন্য বিকল্প অর্থায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। যদিও স্বাস্থ্যবিমা একটি পরীক্ষিত বিকল্প পদ্ধতি, তবে বড় পরিসরে স্বাস্থ্যবিমা চালুর জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন, বাংলাদেশে তা এখনো তৈরি হয়নি।
ক্যানসার চিকিৎসার তহবিল গঠনের জন্য সমাজের সর্বমহলের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সরকারি অনুদান যেমন প্রয়োজন, তেমনি উন্নয়ন অংশীজনসহ বিভিন্ন মানবহিতৈষী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক অংশগ্রহণও প্রয়োজন। এ ছাড়া বিভিন্ন উদ্ভাবনী কৌশল অবলম্বনও করা যেতে পারে। যেমন- তামাক জাত প্রতিষ্ঠান, কোল্ড ডিংকস বা ভেবারেইজ কোম্পানি যেসব পণ্য ক্যান্সার ছড়ায়! এছাড়াও সামাজিক ও মানবিক সংগঠন (যারা মানব কল্যাণে জনগণ থেকে ফান্ড জমায়) এদের কাছ থেকেও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ডোনেশন নেয়া যায়।
তাছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশের মানুষের ক্যানসার চিকিৎসার খরচ জোগাতে এই তহবিলে অবদান রাখতে পারেন। সর্বোপরি, চিকিৎসার উপযোগী একটা তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব।
আশা করি এ ধরনের তহবিল গঠনে চিকিৎসা সেবার অগ্রগামী হবে।
দ.ক.সিআর.২৫