প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১, ২০২৫, ২:২১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১২, ২০২৫, ৫:০৬ পি.এম
সাতছড়ি ত্রিপুড়াপল্লীর সংযোগ ব্রিজ বিচ্ছিন্ন বাসিন্দাদের ভোগান্তি
এফএম খন্দকার মায়াঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ত্রিপুরা পল্লীতে প্রবেশের ব্রিজটি পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়েছে দীর্ঘদিন।
বুধবার (১২ মার্চ ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিপুরা পল্লীর একাধিক বাসিন্দারা। তারা কালনেত্র প্রতিনিধিকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে এ ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে আছে। নানা সময়ে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়লেও জোড়াতালি দিয়ে চলছিল আমাদের এ যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে সরকার পতনকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্ন এ ব্রিজ নিয়ে কারও কোন মাথাব্যথা নেই। ভাঙন অব্যাহত থাকায় পাহাড়ে থেকে যাওয়া প্রায় ২০টি ত্রিপুড়া পরিবারের আমরা আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমাদের কারও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা বা দৈনন্দিন চলাচলের ভোগান্তির অন্ত নেই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এক শ্রেণীর অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ত্রিপুরা পল্লীর টিলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়া থেকে নানা সময়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। যার ফলে ক্রমশ দুর্বল আর আলগা হয়ে গেছে টিলার মাটি। এর ফলে গত কয়েক বছরে বর্ষায় টিলাগুলোতে অল্প অল্প করে ধস শুরু হয়। এবছরও বর্ষায় ছড়ার পাশে থাকা টিলার অনেকাংশ ধসে পড়েছে। এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে ত্রিপুরা পরিবারের লোকজন বসবাস করছেন। ব্রিজটি হেলে পড়ায় পল্লীবাসীর যাতায়াতে সমস্যা দেখা দিলে নানা সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন জোড়াতালি দিয়ে প্রাথমিক যোগাযোগ ব্যবস্থা চলমান রাখলেও স্থায়ী সমাধানের দাবি বরাবরই উপেক্ষিত। ব্রীজ সংস্কারে কোনো বরাদ্দ আসছে না। কবে আসবে তাও জানা নেই। তাই ধসে পড়ছে পাহাড়ি টিলা। এরই মধ্যে আদি বসতভিটা হারিয়েছে ৫টি পরিবার। বাকী ১৯টি পরিবার টিলা রক্ষায় বরাদ্দের জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন। এবার ভেঙে পড়েছে চলাচলের ব্রীজটি দীর্ঘদিন।এখন শঙ্কায় আছেন সেখানকার বসবাসকারীরা।
টিলা ধসের আক্ষেপ নিয়ে আরও রাসেল জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে ২০১৭ সালে পল্লীর টিলা ধসে যায়। সে মৌসুমে তিন আদিবাসী পরিবারকে নিজেদের ভিটা ছাড়তে হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ২ পরিবারকে নিজেদের ভিটা ছাড়তে হয়। বর্তমানে পুরো টিলাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। টিলাগুলো সংরক্ষণ করা না গেলে এখানে বাস করা মানুষগুলো বাড়ি হারা হয়ে যাবে। তাছাড়া, টিলাগুলো জীববৈচিত্র রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। টিলা ধসে গেলে তা পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলবে। তাই টিলা রক্ষায় আশু পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। সেই সঙ্গে চলাচলের জন্য নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন পল্লীবাসী।
দ.ক.চুনারু.২৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত