➖
কালনেত্র ডেস্ক◾
মৌখিকভাবে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে অনেক বার। তবে এত বছর ধরে এ নিয়ে ছিল না কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। অবশেষে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কবি। এর মধ্য দিয়ে হলো ইতিহাসের দায়মোচন।
কবি কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি উঠেছে অনেকবারই। পরিরবারের পক্ষে যেমন দাবি উঠেছে, দাবি উঠেছে বিভিন্ন পক্ষ ও সংগঠনের কাছ থেকেও। তবে এ নিয়ে যেন এক অর্থে উদাসীনই ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কোনো সরকারই তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফাইলবন্দী হয়ে আটকে ছিল বিষয়টি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট নোটিফিকেশন, প্রজ্ঞাপন বা অনুরূপ কোনো সরকারি আদেশ এত দিন ছিল না। তবে সরকারি অনেক দলিলে তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখ করা আছে। জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আয়োজনে তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে লেখা ও বলা হয়। তাঁর নামের সঙ্গে জাতীয় কবি ব্যবহার করে সংসদে একটি আইনও পাস হয়। আইনটি হলো, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬।’
এরপর কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ২২ জুন আসাদ উদ্দিনসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী রিট আবেদন করেন। নজরুলকে জাতীয় কবির ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে তখন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে এর পর আর তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। অবশেষে গত ডিসেম্বরে পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলা সাহিত্যে অবদান, দীর্ঘদিনের দাবি ও নানা কারণে অনেক বছর আগেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। তারপরও এ দাবি ছিল উপেক্ষিত। তাই এত বছর পর এসে অবশেষে তাঁকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কিছুটা হলেও ইতিহাসের ঋণ শোধ করার প্রয়াস।
কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে যেন সমৃদ্ধ হলো বাংলাদেশের ইতিহাসও। যুগের পর যুগ প্রাসঙ্গিক থাকবেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। থাকবে তাঁর সৃষ্টিও।
দ.ক.সিআর.২৫