➖
কালনেত্র ডেস্ক◾
“হে মানবজাতি, আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন স্ত্রী থেকে, এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরের সাথে পরিচিত হতে পার। ”(সূরা হুজুরাত ৪৯ : ১৩)
“নিশ্চয়ই মানবজাতি একখণ্ড সমাজ” পবিত্র কুরআনের এই উদাত্ত ঘোষণার ব্যাখ্যায় বিদায় হজের ভাষণে সমাজের মানুষের প্রতি ভালবাসা, আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহরই পরিবার। যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসতে চাও, তবে মানবজাতিকে ভালোবাস। যদি সেই প্রভুর (আল্লাহর) সামনে যেতে চাও, তবে তাঁর সৃষ্টজীবকে ভালোবাস, যা তোমরা নিজের জন্য পছন্দ কর তাদের জন্য তাই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য বর্জন কর, তাদের জন্য তাই বর্জন করবে। তুমি তাদের প্রতি সেই ব্যবহার কর, যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ কর। তোমরা পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না, তোমরা আল্লাহর দাস ও পরস্পর পরস্পরের ভাই হয়ে যাও”।
(সৈয়দ বদরুদ্দোজা, হযরত মুহাম্মদ (দ.): তাহার শিক্ষা ও অবদান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা।
ইসলাম সমগ্র পৃথিবীবাসী, মানুষ, প্রাণী ও জীব জগতের প্রতি সার্বজনীন ভালোবাসা ও দয়ার আচরণ করতে নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) বলেছেন, ‘যারা দয়া করে দয়াময় আল্লাহ্ তাদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা পৃথিবীবাসীদের প্রতি দয়া কর তাহলে আকাশবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি দয়া করবেন’।
(তিরমিযি ও আবু দাউদ, উদ্ধৃতি : দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা।
সর্বজনীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যায় মোহাজের (মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতকারী) ও আনসার (মদিনাবাসী)-এর মধ্যে ‘ভাই’ সম্বন্ধ স্থাপনের মধ্যে। মদিনার আউস ও খাজরাজ গোত্রের শতাব্দীর বিবাদ ভুলিয়ে মহানবী সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাধারণ নাম দিয়েছেন আনসার (সাহায্যকারী)। বস্তুত ঐতিহাসিক মদিনা সনদ এর ভিত্তিতে মহানবি সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নেতৃত্বে মদিনায় আদর্শ রাষ্ট্র গঠন হলো অসাম্প্রদায়িক চেতনা তথা মুসলিম, ইহুদি, খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপনের এক নজিরবিহীন উদাহরণ।
অর্থাৎ ইসলাম অমুসলিমদের সাথে ভালো ব্যবহারের শিক্ষা দেয়।
দ.ক.ধর্ম