➖
তৃপ্তি সরকার◾
পরকীয়া, বা এক্সট্রা ম্যারিটাল সম্পর্ক, শব্দটি শুনলেই অনেকের মনে হয় এটা একটি নিষিদ্ধ এবং নেগেটিভ ধারণা। নৈতিকতার দৃষ্টিতে পরকীয়া সমাজের কাছে নিন্দিত এবং সম্পর্কের প্রতি এক ধরনের অবমাননা হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এই পরকীয়া যুগ যুগ ধরে মানুষের জীবনের এক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, শহর থেকে গ্রাম, দেশ থেকে বিদেশ—সব সমাজেই এর অস্তিত্ব ছিল এবং আছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, পরকীয়া কি সত্যিই অন্যায়?
নাকি এটি মানুষের কিছু অভাব ও চাহিদার প্রতিফলন? অনেকেই বলেন যে বিবাহিত জীবনে যখন সম্পর্কের গভীরতা হারিয়ে যায়, যখন প্রেম বা শ্রদ্ধা কমে আসে, তখন মানুষ অন্যত্র আশ্রয় খোঁজে। কেউ কেউ বলেন, এটি মানুষের ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বা উত্তেজনার প্রতি আসক্তির বহিঃপ্রকাশ। তবে সমাজের চোখে এটা গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এটি সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও সত্য যে পরকীয়া সম্পর্ক বিভিন্ন স্তরের মানুষদের মধ্যে অনেকদিন ধরে চলে আসছে—কখনো গোপনে, কখনো প্রকাশ্যে। সম্পর্কের এই দিকটি প্রশ্ন তোলে—কেন মানুষ পরকীয়ায় জড়ায়? এটা কি ব্যক্তিগত নৈতিকতা বা সমাজ প্রথার ব্যর্থতা?
এমন নয় যে সব পরকীয়া সম্পর্ক খারাপের দিকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে, এই ধরনের সম্পর্ক মানুষকে জীবনের নতুন দিশা দেখায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিন্তু একথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে অধিকাংশ পরকীয়া সম্পর্ক চূড়ান্তভাবে ভাঙন, দুঃখ আর বেদনা নিয়ে আসে।
তাই, পরকীয়া এক অস্বস্তিকর বাস্তবতা, যা একদিকে মানুষকে আকর্ষণ করে, অন্যদিকে মানুষের জীবন ও সম্পর্ককে জটিল করে তোলে।
দ.ক.মতামত