বিনোদন ডেস্ক◾
শাবনূরের ক্যারিয়ার ছিল ১৯৯৩-২০১৪ পর্যন্ত। প্রায় দুই যুগ। অথচ কখনো কোনো নাটক, শর্ট ফিল্ম এটা সেটা কখনোই এসব করেনি। মূল কথা সে সিনেমার বাহিরে শুধু কিছু বিজ্ঞাপন ও একটা মিউজিক ভিডিও করেছে। কিন্তু নাটকে বা ছোট পর্দায় শাবনূরের এত অনিহা কেন?
নাটক বা ছোট পর্দার কাজ কি ভাল কিছু নয়? কেন হুমায়ুন আহম্মেদ এর মত নির্মাতারাও শাবনূরকে নাটকে কাস্ট করতে পারেনি? যেখানে সমসাময়িক মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমাদের ছোট পর্দায় দেখা যেত নিয়মিত সেখানে শাবনূর কেন ছোট পর্দায় কখনো ধরা দেয়নি? এমন সব অসংখ্য প্রশ্নের উত্তরে শাবনূরের মন্তব্য ও ভাষা ছিল যে, নাটকে কাজ করা খারাপ কিছু নয় তবে তিনি এটা বিশ্বাস করতেন যে বড় পর্দার তারকারা নাটকে কাজ করলে তারকাদের জনপ্রিয়তায় প্রভাব পরে। এছাড়াও তার অভিমত ছিল দর্শক তাকে দেখতে সিনেমা হলে পয়সা খরচ করে গিয়ে দেখে, সেখানে তারা যদি তাকে দিন রাত নিজেদের ড্রয়িংরুমে পেয়ে যায় তাহলে আর টিকিট কেটে হলে যাবে কেন? এসব ছাড়াও বড় পর্দার কাজের জন্যই তার শিডিউল একটানা ২-৩ বছর পর্যন্ত বুকিং করা থাকতো সেখানে ছোট পর্দার কাজের জন্য সময় বের করা ট্রাফ।আবার তিনি যে পারিশ্রমিক নিতেন তা ছোট পর্দার প্রযোজকদের জন্যও ছিল বেশ ব্যয়বহুল। সবকিছু মিলিয়ে শাবনূরের কখনো ছোট পর্দায় কাজ করা হয়ে উঠেনি।
জনপ্রিয়তা নিয়ে একজন নায়িকা কতটা সচেতন হলে এমনটা হয়! এমনকি তিনি চ্যানেলের ছবি পর্যন্ত করতেন না যদি তা সিনেমা হলে মুক্তির আগে টিভি চ্যানেলে দেখায় সে ভয়ে।
সাক্ষাতকার নেওয়া বা দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার কঠোর নিয়মনীতি ছিল।
কে_
সিআর-২৪ (গণস্বার্থে সর্বত্র)