সম্পাদকীয়◾
ডক্টর ইউনুসকে যারা বেঁঁছে নিয়েছেন তাদের নানা কারণেই ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ ডক্টর ইউনুস অন্তত: কট্টরবাদীদের কাছে নত হবেন না। এটা বুঝতে পেরেই কট্টর পন্থীরা শান্তিবাদী কায়দায় বক্তব্য দিচ্ছেন। অথবা বলা যেতে পারে, বিশ্বপরিস্থিতিতে কট্টর পন্থীদের নীতিগত পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তনের ধারা ভারতেও স্পষ্ট হচ্ছে দিনদিন।
ডক্টর ইউনুস ক্ষমতায় আসার আগে প্রথম কথা বলেছেন, ভারতীয় মিডিয়ার সাথে আবার ক্ষমতায় এসে প্রথমেই কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে। আঞ্চলিক স্থীতিশীলতা, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্টির মানবাধীকার বিষয়ে ডক্টর ইউনুস আধুনিক পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করবেন এটাই স্বাভাবিক। আমি আশ্চর্য হবনা, তার কন্যা মানিকা ও মমতাজকে এক মঞ্চে গান গাইতে দেখলে।
ডক্টর ইউনুস যখন বাংলাদেশে কাজ শুরু করেন, তখন এমন বেসরকারী উদ্যোগের মাধ্যমে অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন, তার মধ্যে ডক্টর জাফরুল্লাহ(গণস্বাস্থ্য), ফজলে হাসান আবেদ(ব্রাক), কাজী ফারুক(প্রশিকা), পরে আসলেন ফ র মাহমুদুর রহমান(গণ সাহায্য সংস্থা) ইত্যাদী। এখনো ইউনুস সাহেবের ক্যাবিনেটে , এনজিও প্রতিনীধিদের সংখ্যা বেশী। তারা সকলেই পশ্চিমা ধারা জীবন ও সমৃদ্ধির ধারক ও বাহক, যদিও তাদের অনেকেই মার্কসবাদী হিসাবে বিখ্যাত।
আমি চিন্তুা করছি, দেশ যদি আগামী ২০-২৫ বছর পরে আবার এমন সঙ্কটে পড়ে তখন কোন সেক্টর থেকে লোক আসবে? ৯০ সালের দিকে বিচারপতিদের প্রতি একটা গ্রহন যোগ্যতা ছিল, এবার ক্ষয়িষ্ণু এনজিওদের প্রতিস্থাপন করা গেছে কিন্তু তখন কারা হবে কান্ডারী? তখন কোন সেক্টর থেকে আসবে? আমার কেন জানি মনে হয়, তখন ই-কমার্সের লোকজন প্রভাবশালী হয়ে উঠবে।
আসাদ ঠাকুর
সম্পাদক, দৈনিক কালনেত্র
কেসিআর/২৪